রাহুল রায়: বারংবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বিমান বিভ্রাটের কারণ কী? কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। তবে এদিন আদালতে মুখবন্ধ খামে সেন্ট্রাল ইনটালিজেন্সের রিপোর্ট আদালতে জমা করেছে কেন্দ্র। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ সেপ্টেম্বর।
তবে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এদুলজির অভিযোগ, প্রতিটি বিমানের গতিবিধি সংক্রান্ত ভিডিওগ্রফি এটিসির কাছে থাকে। ২০১৬ সালে যখন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল সে সময় রাজ্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল। সেই সময় নিম্ন আদালত এটিসিকে ওই ভিডিওগ্রাফি বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই ভিডিওগ্রাফি দেওয়া হয়নি।
গত ৪ মার্চ বারাণসী (Varanasi) সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির (SP) হয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে শুক্রবার বিমানে কলকাতায় ফেরেন তিনি। বিমানটি দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে বারাণসী থেকে ওড়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় (Kolkata)নামার পনেরো মিনিট আগেই বিভ্রাট হয় বিমানটিতে। দমদম বিমানবন্দরে (DumDum Airport) বিমানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি।
[আরও পড়ুন: ‘BJP’র ক’জন বিধায়ক আছে নিজেরাও জানে না’, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়ে কটাক্ষ অভিষেকের]
কেন এমনটা ঘটল? তার জন্য যথাযথ তদন্ত চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে চাপ দেওয়া হয় ডিজিসিএ-কে (DGCA)। চাপে পড়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। ডিজিসিএ-র প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য ATC’র অনুমতি নিয়েই বিমানটি নিচে নামানো হয়েছিল। এরপর মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট বিস্তারিত রিপোর্ট চায়।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বসে কানাডার মহিলার অ্যাকাউন্ট সাফ! ফুলবাগানে গ্রেপ্তার সাইবার জালিয়াত]
বিষয়টি নিয়ে ১০ মার্চ আইনজীবী বিপ্লব চৌধুরী কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেন। মামলাকারীর আবেদন, ২০১৬ সালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে এ ধরনের বিভ্রাট হয়েছিল। এবারও হল। তাই এর নিরপেক্ষ ও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের সময় রাজ্যের তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল। বিমানের ভিডিওগ্রাফি তদন্তকারী দলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এটিসিকে নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। কিন্তু এখনও সেই ভিডিওগ্রাফি দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। এই মামলার শুনানি আবার সেপ্টেম্বর মাসে।