Upper Primary: ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চললেও এখনই শিক্ষক নিয়োগ নয়, নির্দেশ হাই কোর্টের

05:11 PM Jul 20, 2021 |
Advertisement

শুভঙ্কর বসু: ফের উচ্চ প্রাথমিক (Upper Primary) শিক্ষক নিয়োগে জট। শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ চললেও উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া এখনই কাউকে নির্বাচন করে নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার এই উচ্চ প্রাথমিক সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ। ইন্টারভিউয়ে নির্বাচিত সদস্যদের বিস্তারিত database তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, যাঁরা ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্বাচিত হননি বলে ক্ষোভ রয়েছে, তাঁদেরও লিখিত পরীক্ষার ব্রেক-আপ নম্বর এবং শুনানির বিস্তারিত তথ্যভাণ্ডার তৈরির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এরপর সেই দুটি তথ্যভাণ্ডার হাই কোর্টে জমা দিতে হবে। তা ভালভাবে খতিয়ে দেখে তবেই শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেবেন বিচারপতিরা।

Advertisement

দীর্ঘ সময় পর আইনি জটমুক্ত হয়েছিল রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯ জুলাই থেকে ইন্টারভিউ (Interview) প্রক্রিয়াও  শুরু হয়েছে। মোট ১৪,৩৩৯ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৫ হাজারের বেশি প্রার্থীর নাম রয়েছে ইন্টারভিউ তালিকায়। ৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ইন্টারভিউ। তবে তার মধ্যে মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ইন্টারভিউ নিতে কোনও বাধা নেই। প্যানেলও তৈরি করা যাবে। কিন্তু নির্বাচিত শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া যাবে না আদালতের অনুমতি ছাড়া।

[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ফল নিয়ে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে নিজেই ট্রোলড Shatarup Ghosh, কী বললেন নেটিজেনরা?]

৮ জুলাই উচ্চ প্রাথমিকের যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অস্বচ্ছতার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। যাঁদের নাম নেই তালিকায়, তাঁদের একাংশ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ, তাঁদের যোগ্যতা থাকা সত্বেও ইন্টারভিউ তালিকায় নাম ওঠেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) নির্দেশ দেয়, ওই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বসে তাঁদের অভিযোগ শুনে সমাধান করে দিতে হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যে। তার আগে অভিযোগকারীরা নিজেদের বক্তব্য SSC-কে জানাবে অনলাইন বা অফলাইনে। এখন সেই ১২ সপ্তাহের মধ্যেই এই শুনানির অংশ এবং ওই প্রার্থীদের ব্রেক-আপ নম্বর-সহ বিস্তারিত database তৈরি করতে হবে কমিশনকে। তা জমা দিতে হবে হাই কোর্টে। এরপর ইন্টারভিউয়ে নির্বাচিত প্রার্থী এবং এই database তুলনা করে তবেই শিক্ষক নিয়োগে অনুমতি দেবে হাই কোর্ট।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: শিশুদের শরীরে আঘাত হানতে পারবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ, দাবি শহরের চিকিৎসকদের]

Advertisement
Next