মুর্শিদাবাদের সুতির ১ নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষকের ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। তিনি ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। বাবার স্কুলেই ছেলের চাকরি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যের সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি করতেন অনিমেষ। নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর এক রেখে অনিমেষ নিজের নাম নিয়োগপত্রে বদলে নেন বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পানশালার গায়িকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ভিন রাজ্যের যুবক]
আরটিআইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনিমেষের বাবা জানান তাঁর ছেলে গোথা এয়ার স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তবে যাঁর সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র জাল করলেন অনিমেষ, তিনি এই মুহূর্তে কী করছেন? পরে যদিও জানা যায় ওই ব্যক্তি বর্তমানে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলে চাকরি করেন।
বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি তথ্যপ্রমাণ দেখে অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, “এই ঘটনা অনভিপ্রেত। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” এরপর ডিআইজি সিআইডিকে এজলাসে তলব করেন বিচারপতি। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।