দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পথ দেখাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)। স্নাতকোত্তরের সমস্ত ফি মকুব করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেকথা জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, মার্কশিট বা গ্রেডশিট তোলা বা সেমেস্টার দেওয়ার জন্য কোনও ফি দিতে হবে না। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত বলেই ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ফি (Fee) মকুবের সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন স্নাতকোত্তরের সাড়ে ১২ হাজার পড়ুয়া। উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “অতিমারিতে অনেক পরিবারের আয় কমেছে, অনেক ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক হারিয়েছেন। সেকথা মাথায় রেখে আমরা সমস্ত ফি মকুব করছি।” উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফি মকুবের দাবিতে পড়ুয়ারা আন্দোলনও করেন। তারপরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এহেন বিজ্ঞপ্তিতে খুশি পড়ুয়ারা। এবার বর্ধমান-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ফি মকুবের দাবি উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: কলকাতায় সুদীপ রায় বর্মন-সহ ৩ বিজেপি বিধায়ক, তুঙ্গে তৃণমূলে যোগের জল্পনা]
এদিকে, কোভিডের (Coronavirus) কারণে গত বছর মার্চ থেকে ক্লাস হচ্ছে না। কিন্তু রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ধরলে কোটি কোটি টাকার বই পড়ে আছে ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে। নির্দিষ্ট সময়ে বই ফেরত না দিলে জরিমানা দিতে হয়। অতিরিক্ত টাকা জরিমানা দেওয়ার ভয়ে অনেকেই গ্রন্থাগারের চৌকাঠ পেরোচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে ঋণের টাকা ফেরাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মতোই ছাড় ঘোষণা করে দেশের অন্যতম প্রাচীন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “অতিমারি পরিস্থিতিতেও আমরা গ্রন্থাগার আংশিকভাবে খুলে রেখেছি। ছাত্রছাত্রীরা অনেকে যাঁরা বই ফেরত দিতে পারেননি আমরা তাঁদের লেট ফাইন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সাড়াও মিলেছে। ১৬ আগস্ট থেকে বিনা জরিমানায় গ্রন্থাগারের (Library) বই ফেরত নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।