অর্ণব আইচ: গত সপ্তাহে বাড়িতে টানা ১৫ ঘণ্টার তল্লাশিতে বিপুল নথি উদ্ধার হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সেসব নথি খতিয়ে দেখে এবার আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস সাহাকে নিজাম প্যালেসে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে সিবিআই (CBI) দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। বুধবারও তাঁকে ডাকা হতে পারে। সূত্রের খবর, ইডি (ED) তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনও বিধায়কের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নদিয়ার তেহট্টের (Tehatta) কড়ুগাছি এলাকায় বিধায়কের বাড়ি, অফিস ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে টানা ১৫ ঘণ্টা করে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। তাতে একাধিক দপ্তরে নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়ি থেকেও বেশ কিছু জরুরি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সেসবের বিস্তারিত জানতেই ফের তাপস সাহাকে (Tapas Saha) জেরার পরিকল্পনা বলে জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আমলা পদেও টাকা! অর্থের বিনিময়ে WBCS পাশের টোপ তাপস-প্রবীরের, নথি সিবিআইয়ের হাতে]
শিক্ষা দুর্নীতিতে শাসকদলের একের পর এক বিধায়ক গ্রেপ্তার হয়ে জেলবন্দি। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা – এই তিনজনকে গ্রেপ্তারির পর সিবিআই মনে করছে, আরও বহুদূর বিস্তৃত দুর্নীতির জাল। সন্দেহভাজন হিসেবে তাই তেহট্টের বিধায়কের নাম হাতে পাওয়া পর গত সপ্তাহে তাঁর ডেরায় দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তল্লাশি চলে ঘনিষ্ঠদের ডেরাতেও। ১৫ ঘণ্টার তল্লাশির পরও অবশ্য তাপস সাহা কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই।
[আরও পড়ুন: জানতেনই না অন্তঃসত্ত্বা! প্রসবের পর শৌচালয়ের জানলা দিয়ে সদ্যোজাতকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেললেন মা]
তবে উদ্ধার হওয়া নথিগুলিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে সিবিআইয়ের। শিক্ষা-সহ বিভিন্ন দপ্তর তো বটেই, আমলা নিয়োগেও মোটা অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেসব নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এবং তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল সম্পর্কে তথ্য জানতেই নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ককে ডাকা হল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে বিধায়ক নিজেই আপ্ত সহায়ককে ‘ঠগ, প্রতারক’ বলে তোপ দেগেছিলেন।