দীপালি সেন: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিন ঘোষণা না হলেও তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজ্যে আসার কথা ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force)। তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তর কলকাতার বেথুন সহ একাধিক স্কুলের পঠনপাঠন। জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে (WBCHSE) না জানিয়েই স্কুলের পঠনপাঠন সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় জলঘোলা হতে শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জন্য স্থানীয় থানা থেকে উত্তর কলকাতায় বেথুন স্কুলকে (Bethun School) নোটিস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। নোটিসের জেরেই স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল সূত্রে খবর, শুক্রবার একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা রয়েছে স্কুলে। যথাসময়ে সেই পরীক্ষা হবে। এছাড়া বাকি ক্লাসকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেরে শুধু শুক্রবার নয়, আগামী দিনেও পঠন পাঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২ দিনের সফরে আজই বাংলায় মোদি, আরামবাগের সভা থেকে মুখ খুলবেন সন্দেশখালি নিয়ে?]
অনুমান করা হচ্ছে, স্কুলে জওয়ানরা থাকলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে কবে, কীভাবে ক্লাস শুরু হবে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। যদিও এই ঘটনা শুধু বেথুন স্কুলে নয়, আরও বেশ কয়েকটি স্কুলে একইভাবে বন্ধ হয়েছে পঠনপাঠন। থানা থেকে একই চিঠি গিয়েছে, যাদবপুরের ৩ টি ও উত্তর পাড়ার একটি স্কুলে। জানা যাচ্ছে, বাহিনীর জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করতে থানা থেকে চিঠি গিয়েছে রাজ্যের অন্যান্য স্কুলগুলিতেও।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, এনিয়ে কিছুই জানে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানান, তিনি তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। পর্ষদ সভাপতি এ বিষয়ে বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। মার্চের প্রথম দিন থেকেই যদি এভাবে স্কুল নিয়ে নেওয়া হয় তাহলে পঠনপাঠনে ভীষণ সমস্যা হবে। সামনে পরীক্ষাও রয়েছে। পঠনপাঠনের বিকল্প ব্যবস্থা কী হবে সে বিষয়েও আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, নির্বাচন উপলক্ষ্যে এবার রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি সেনা জওয়ান। এর মধ্যে প্রথম দফায় কলকাতায় আসছে ৭ কোম্পানি ও দ্বিতীয় দফায় আসছে ৩ কোম্পানি। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে শহরের বিভিন্ন স্কুলে। সেই ব্যবস্থা করতেই বন্ধ হচ্ছে স্কুলের পঠনপাঠন।