সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে এসেও ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে তৃণমূল সরকারকেই বিঁধলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadvi Niranjan Jyoti)। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র ১০০ দিনের সব টাকা মিটিয়ে দিতে তৈরি। কিন্তু, সেজন্য সব টাকার হিসাব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে রাজ্য সরকার সঠিক হিসাবে দিচ্ছে না।’
১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। রাজ্যের দাবি, বিরোধী শাসিত রাজ্য হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। পালটা কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যে মনরেগা প্রকল্পে বিস্তর গরমিল হয়েছে। সেই হিসাবে দিলেই টাকা মিলবে। কিছুদিন আগে বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে দিল্লিতে অভিযান করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। ওই অভিযান ঘিরে রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সদর দপ্তর কৃষি ভবনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মন্ত্রকের ভিতরে বসে থেকেও মন্ত্রীর দেখা পাননি তৃণমূল প্রতিনিধিরা। পরে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) জোর করে তাঁদের মন্ত্রক থেকে বের করে দেয়।
[আরও পড়ুন: দূরপাল্লার ট্রেনে প্রসব যন্ত্রণা, ‘মাতৃ শক্তি’ দলের তৎপরতায় মেয়ের জন্ম দিলেন মহিলা]
সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন ফের তৃণমূলকে বিঁধেছেন সাধ্বী। তাঁর দাবি, তৃণমূল (TMC) সাংসদদের তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাই ছিল না। ওরা ‘তামাশা’ করতে গিয়েছিল। তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, “বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে তৈরি কেন্দ্র। হিসাব দিলেই টাকা পাওয়া যাবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাফ বলছেন, “আজও বলছি ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আমরা টাকা দিতে তৈরি। কিন্তু জানি না কেন মমতাদিদি করতে চাইছেন না। লোকসান তো বাংলার মানুষের হচ্ছে, এখানকার শ্রমিকদের হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাড়ছেন রাজন্যা! এবার কোন ভূমিকায় দেখা যাবে ছাত্রনেত্রীকে?]
মমতা-মোদির (Narendra Modi) বৈঠক নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ওই বৈঠকের পর কেন্দ্রের তরফে দু’জন আধিকারিককে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের তরফেও দু’জন আধিকারিক ঠিক হয়েছে। সাধ্বীর অভিযোগ, ওই বৈঠকের পরও সেভাবে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না। পালটা এদিন সাধ্বীকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি বলছেন,”নিজের অপরাধবোধ থেকেই বারবার বাংলায় আসছেন স্বাধ্বীজি। বারবার অপপ্রচার করেছেন। আমরা শুধু আমাদের টাকা ফেরত চাইছি।”