সুব্রত বিশ্বাস: রেলের আয় বাড়াতে শিয়ালদহ স্টেশনে বাণিজ্যকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। অথচ স্টেশনটি পরিকাঠামোহীন হয়ে পড়ছে যাত্রী চলাচলের জন্য। ট্রেন ঢুকলেই ভিড়ের চাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত হচ্ছে যাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, ভিড়ের মধ্যে বাড়ছে মোবাইল চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও। স্টেশনে শুধু যাত্রীরাই নন সমস্যায় পড়ছেন রেলকর্মীরাও।
যাত্রীদের অভিযোগ, ব্যস্ত সময়ে ট্রেন ধুকলে মেন গেট দিয়ে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভিড়ের সুযোগে মোবাইল চুরি, ছিনতাই এমনকী মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট হয় বলেও অভিযোগ। চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায় দক্ষিণ শাখার থেকে আসা যাত্রীদের বেরনোর পথটিতেও। যাত্রী ভিড়ে অপ্রসস্ত পথকে আরও সংক্ষিপ্ত করেছে হকারদের দোকানপাট। এই সমস্যা আরও বেড়েছে প্রফুল্ল দ্বার বন্ধ থাকায়। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই গেট বন্ধ থাকায় ভিড়ের চাপ বেড়েছে। ওই জায়াগায় নতুন প্রকল্প হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে যাত্রীদের মেন গেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে প্রফুল্লদ্বারের দিক দিয়ে যাত্রীদের ভিড় না থাকায় রেল টিকিট বিক্রির যে পাঁচটি ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে, তা এখন না চলায় জমা টাকা ফেরত চেয়েছেন ভেন্ডাররা।
[আরও পড়ুন: দামে কম, মানে ভালো, সুস্বাদু টিফিনের ‘সেরা ঠিকানা’ কলকাতা পুরসভার ক্যান্টিন]
শুধু যাত্রীদের সমস্যাই নয়, ভুগতে হচ্ছে রেলকর্মীরাও। স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাসরি ডিআরএম বিল্ডিংয়ে কর্মীদের যাওয়ার জন্য দুটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল। যা এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেলকর্মীদের অভিযোগ, কর্মচারীদের উড়ালপুলের পাশ দিয়ে কাইজার স্ট্রীট ধরে অফিসে যেতে হচ্ছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্তদের দপ্তরে কাজে ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। রেলের আবাসনে চুরি হওয়ার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিয়ালদহের এডিআরএম। বনগাঁ থেকে প্রতিদিন কোলে মার্কেটে কাজে আসেন নিমাই ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, ট্রেন চলাচলের সমস্যা তো রয়েছেই। তার উপর ‘বিষ ফোঁড়া’র মতো রয়েছে যাত্রীদের ভিড়ের সমস্যা।