স্টাফ রিপোর্টার: আড়াইশো পার মুরগির। আর পাঁঠার মাংস সাড়ে সাতশোর দোরগোড়ায়। দোলে বাজারে আগুনে দাম মাংসের। তবুও দোকানের সামনে লম্বা লাইন। মুরগি-পাঁঠার মাংসের দোকানের সামনে ভিড় নজরে এল। বাজারভেদে মুরগি বিকোল ২৪০-২৫০ টাকা কেজিতে। আর পাঁঠার মাংস ৭২০-৭৪০ টাকা। তবে দাম হলেও ভিড় পাতলা নয় কোনও দোকানেই। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দামও। কাতলা, পাবদা, ভেটকি, সবেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে অবশ্য তোপসের চাহিদাও মন্দ নয়। অনেকেই বলছেন, সন্ধের জলখাবারে যদি তোপসে ফ্রাই থাকে তবে খাবারের টেস্টটা আরও বেড়ে যায়।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাংসের দামের এই ঊর্ধ্বগতি চোখে পড়েছে। যা আশঙ্কায় ফেলেছে মধ্যবিত্তকে। বিশেষ করে মাঘ-ফাল্গুনজুড়ে বিয়ের মরশুম চলায় মুরগির মাংসের তুঙ্গে চাহিদা ছিল। চাহিদা ছিল পাঁঠার মাংসেরও। যে কারণে পাইকারি বাজারেও এর কিছুটা দাম বাড়ে। দাম বেড়েছে খাসির মাংসেরও। রবিবার করে এমনিতেই মাংসের দাম অন্য দিনের তুলনায় ১০-২০ টাকা বাড়ে। দোলের আগের দিনও সেই দাম বেড়েছিল।
[আরও পড়ুন: যৌন আকাঙ্ক্ষা মেটাতে গিয়েই বিপত্তি! মহিলার মূত্রনালীতে মিলল কাচের গ্লাস]
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দামে হঠাৎ করেই পরিবর্তন ঘটেছে। যে কারণে তাঁরাও দামে পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। পোলট্রি সংগঠনের নেতারা বলছেন, দামবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে মুরগির খাবারের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি। খামারে খাবার হিসাবে ভুট্টার দানা ব্যবহার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সেই খাবারের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেতেই যাবতীয় হিসাব বদলে গিয়েছে। এমনকী, খাবার বাইরের রাজ্য থেকে আমদানিও করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। একই সঙ্গে এই সময় বাজারে চাহিদা থাকে। কিন্তু জোগানে ঘাটতি রয়েছে।
দক্ষিণে গড়িয়াহাট থেকে মুকুন্দপুর বাজার, উত্তরে বরানগর হোক বা মাণিকতলা বাজার, সর্বত্র চড়া দাম মাংসের। তবে ক্রেতাদের এদিন অবশ্য দাম নিয়ে মাথাব্যথা করতে দেখা যায়নি। প্রত্যেকেরই বক্তব্য, দোলের আগে দাম তো একটু বাড়বে। চিকেন পকোড়া, চিকেন কষা, চিলি চিকেন তো শুক্রবার অনেক বাড়িতেই রান্না হবে। সঙ্গে বিরিয়ানি তো রয়েছে।