সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে এবার সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এনিয়ে আলোচনা হচ্ছে না? কেন প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিচ্ছেন না? শুক্রবার নিউজ ১৮ বাংলার সম্পাদক বিশ্ব মজুমদারের সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী দেশে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর হৃদয়স্পর্শী মন্তব্য, ''ভৌগলিক সীমান্ত থাকতে পারে দুদেশের মাঝে। কিন্তু হৃদয়ের কোনও সীমান্ত নেই।'' অর্থাৎ আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষজনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রয়েছে তাঁর সরকার।
সপ্তাহ দুই ধরে তপ্ত প্রতিবেশী দেশ। হাসিনা সরকার পতনের পর ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে সেখানে সংখ্য়ালঘু হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে বার বার অভিযোগ উঠছিল। তবে গত কয়েকদিনে বাস্তব ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে। সময় যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে অত্যাচারের মাত্রা। এনিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে প্রস্তাব আসে, এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘ হস্তক্ষেপ করে যাতে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো হয়, সেই আর্জি জানাক কেন্দ্র।
শুক্রবার নিউজ ১৮ বাংলার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় উদ্বেগ, হতাশার সুর শোনা গেল। বললেন, ''প্রতিবেশী দেশ হোক বা অন্য কোনও দেশে কোনও ধর্মের উপর আঘাত নেমে আসা কোনওভাবেই সহ্য করতে পারি না আমরা। নির্যাতিতদের পাশে আছি, থাকব। ভৌগলিক সীমানা থাকতে পারে, কিন্তু হৃদয়ের তো কোনও সীমান্ত নেই। বাংলাদেশ ইস্যু কেন্দ্রের বিষয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নেবে, আমরা সবসময়ে তার পাশে আছি। কারণ, এটা আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও বলতে চাই, আমি শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা বলেছিলাম। সেটা কেন পাঠানো হচ্ছে না? কেন প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী কোনও বিবৃতি দিচ্ছেন না? সংসদে তো এনিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সেটাও হচ্ছে না কেন?''