সন্দীপ চক্রবর্তী: জমে উঠেছে কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair 2022)। তার মধ্যেই বইমেলায় অংশ নেওয়া সমস্ত প্রকাশকদের জন্য সুখবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উদ্যোগে সব স্টলের ট্রেড লাইসেন্স ফি মকুবের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। এর মধ্যে রয়েছে লিটল ম্যাগাজিনগুলিও।
গত বছর মেলা না হওয়ায় যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে প্রায় সব প্রকাশককেই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশে মিলল স্বস্তি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই যে সব প্রকাশনী ট্রেড লাইসেন্স ফি দিয়েছেন তাদের টাকাও ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার প্রবল ভিড় হয়েছিল মেলায়। দুপুর গড়িয়ে রোদের তেজ একটু কমতেই ভিড় আরও বাড়ে। কিন্তু রবিবার প্রায় শুরু থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। ছোট-বড় বহু স্টলেই রীতিমতো লাইন করে লোককে ঢোকাতে হচ্ছে। এদিন বইমেলায় শিশু দিবস। সেই উপলক্ষে ছোটদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা ও আরও নানা চমক।
[আরও পড়ুন: কিয়েভের পাশেই আমেরিকা, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিতে বিশ্বকে আহ্বান বাইডেনের]
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শুরু হয় ৪৫ তম কলকাতা বইমেলা। রয়েছে মোট ৬০০টি স্টল। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ২০০টি। এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর জন্য মোট ৯টি গেট রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের আদলেই তিনটি গেট রয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর নামে আলাদা একটি গেটও রয়েছে। ২টি গেট রয়েছে সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে। একটি বিশ্ববাংলা গেটও রয়েছে।
করোনা প্রকোপে বন্ধ ছিল গতবারের মেলা। এবারও পূর্ব নির্ধারিত সময়ে করা যায়নি বাঙালির প্রাণের এই উৎসব। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রায় ১ মাস পিছিয়ে গিয়েছে মেলা।
স্বভাবতই দু’বছরেরও বেশি সময় পড়ে হওয়া বইমেলাকে ঘিরে উৎসাহের অন্ত নেই। শনিবার বিকেলের পরে বহু স্টলেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্বাভাবিক ভাবেই রবিবার ছুটির দিনে সেই ভিড় আরও বাড়বে বলেই আশা।