অর্ণব আইচ: গ্রেপ্তারির সাড়ে আট ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন কৌস্তভ বাগচি। ১ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর হয় জামিন। তবে প্রতিদিন কৌস্তভকে থানায় হাজিরা দিতে হবে। আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে কংগ্রেস নেতাকে। কৌস্তভকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁদের আরজি খারিজ করে জামিন মঞ্জুর করল আদালত। পরবর্তী শুনানি আগামিকাল।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে মাঝরাতে কংগ্রেস নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল বড়তলা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই এই গ্রেপ্তারি। যদিও সে কথা মানতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বরং জামিন পাওয়ার পর তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষ জবাব দিতে শুরু করেছে’, ৪২ দিন পর জেল থেকে বেরিয়ে স্বমেজাজে নওশাদ]
এদিন কৌস্তভকে পেশ করার পর থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আইনজীবীদের হই হট্টেগোল শুরু হয়ে যায়। কৌস্তভ বাগচির গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হন আইনজীবীরা। তদন্তকারী অফিসার ও ওসিকে শোকজের দাবিতে শুনানির মাঝেই হট্টগোল শুরু করে দেন প্রায় শখানেক আইনজীবী। বিরক্ত হয়ে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক। পরে অবশ্য ফিরে এসে রায়দান করেন বিচারক।
কৌস্তভের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই মামলায় যিনি অভিযুক্ত তিনি আইনজীবী। ইয়ং। এমন নয় যে আইনজীবী ক্রিমিনাল অফেন্স করেন না। কিন্তু এগুলো পুলিশ অ্যাট্রোসিটির স্বীকার। প্রথমে ডিএ প্রতিবাদ করায় একজন গ্রেপ্তার করা হল। তারপর নওশাদ। এখন এই আইনজীবী।” আইনজীবীদের দাবি, পুলিশের এই ভূমিকায় আতঙ্কিত আইনজীবী। আদালতে পদক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা।
পাবলিক প্রসিকিউটর জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, “এই মামলায় একটা জামিন অযোগ্য ধারা আছে। যেখানে বলা আছে, কেউ যদি কোনও গুজব ছড়ান। এখানে ওয়েবের মাধ্যমে গুজব ছড়নো হয়েছে। এই ঘটনার নিয়ে পাবলিক শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল শোরগোল তৈরি হয় আদালতে।