shono
Advertisement

বুধবার থেকে ফের চলবে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস, দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের

দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ জোরাল হতেই তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের।
Posted: 05:29 PM Jun 06, 2023Updated: 05:29 PM Jun 06, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার থেকে ফের যাত্রা শুরু করবে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় যে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) কার্যত মৃত্যুমণ্ডলে পরিণত হয়েছিল, সেই করমণ্ডল পাঁচদিন পর নতুন করে যাত্রা শুরু করছে।

Advertisement

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যথা সময় অর্থাৎ বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ আবারও শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি আগের রুটেই চলবে। অর্থাৎ, যে জায়গায় করমণ্ডল বেলাইন হয়েছিল, সে বাহানাগা বাজার (Bahanaga Bazar) স্টেশনের উপর দিয়েও যাবে। দুর্ঘটনার বিভীষিকা পিছনে ফেলে ‘চরৈবেতি’ মন্ত্র নিয়েই এগিয়ে চলতে চাইছে রেল। স্বস্তির খবর হল, দুর্ঘটনার পরও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা কমেনি। বুধবার করমণ্ডলের সব সংরক্ষিত টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। যদিও এই রিজার্ভেশনের বেশিরভাগটাই হয়েছে দুর্ঘটনা পূর্ববর্তী সময়ে।

[আরও পড়ুন: নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু, টিবি নম্বরের বৈধতার সময়সীমা জানাল পর্ষদ]

বস্তুত, শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার এবং ট্র্যাক মেরামতির কাজ শুরু করেছিল রেল। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেছেন। ফলে সোমবার সকাল থেকেই ওই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে ওই রেলপথে চলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিছু পরে আপ লাইন দিয়ে যায় ফলকনুমা এক্সপ্রেসও। সব মিলিয়ে সোমবার চলেছে ৪০টি ট্রেন। মঙ্গলবারও ওই লাইনে অনেকটা স্বাভাবিক ছন্দে ট্রেন চলছে। তবে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে এখনও ট্রেনের গতি কম রাখা হচ্ছে। ওই রুট দিয়েই বুধবার যাবে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

[আরও পড়ুন: নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু, টিবি নম্বরের বৈধতার সময়সীমা জানাল পর্ষদ]

এদিকে মঙ্গলবারই করমণ্ডলে দুর্ঘটনার ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল। সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রকের অনুরোধে একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে এই দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব আরও জোরাল হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খোরদার ডিআরএম রিঙ্কেশ রায় বলেন, “মেন লাইনে সিগনাল সবুজ ছিল। সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই সবুজ সংকেত মেলে। সামনের লাইন ১০০ শতাংশ ফাঁকা না থাকলে সিগনাল প্রযুক্তিগতভাবে সবুজ হতেই পারে না। কোনও একটি ছোটখাটো ত্রুটির কারণেও সিগনাল লাল হয়ে থাকে। যদি না কেউ নিজে থেকে সব জেনে তা সবুজ করে দেন। এ ক্ষেত্রে, কেউ ইচ্ছা করে সিগনাল না দিলে তা সবুজ হতেই পারে না।” এরপর সিবিআই তদন্তকে আরও প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement