সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহতার মাত্রা ছাড়াচ্ছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। অন্য রাজ্যের তুলনায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও উদ্বেগেজনক পরিস্থিতি এরাজ্যেও। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। এবার আরও বেশকিছু পদক্ষেপের ইঙ্গিত মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, করোনা রুখতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে। যা সোমবার দুপুর দুটোয় সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করবেন মুখ্যসচিব। এদিকে আজ দুপুরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। দেশের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
টুইটে মমতা জানিয়েছেন, “দেশজুড়ে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাংলার জনগণকে রক্ষা করতে সমস্তরকম প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আমি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ওষুধ এবং ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেই সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সব শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি, যাতে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কার্যকরী পদক্ষেপ করেন। এবং যে যে বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই করা হয়েছে, তা আরও ভালভাবে কার্যকর করা হয়।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অন্য সরকারি আধিকারিকরা সাংবাদিক বৈঠক করবেন। রাজ্যের এই ‘বিস্তারিত পরিকল্পনা’ কী? সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে অক্সিজেনের হাহাকার, প্রাণ বাঁচাতে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের]
প্রসঙ্গত, রবিবারই রাজ্যের তরফে বিবৃতি দিয়ে করোনা রুখতে বেশ কিছু বিধি নিষেধের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, বাস-ট্রেন বা গাড়ি, যে কোনও গণপরিবহণেই বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা এবং সব বাণিজ্যিক ভবনগুলিকে সপ্তাহে অন্তত এক বার স্যানিটাইজ করতেই হবে। দোকান-বাজার, কারখানায় কর্মচারী এবং গ্রাহক মিলিয়ে সার্বিকভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারি দপ্তরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কর্মীদের অফিসে আনতে হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ফের কর্মীদের দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কোনওরকম বিধি না মানলে বা অসতর্ক হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।