shono
Advertisement

ফের অমানবিক ঘটনা শহরে, কোভিডে মৃতকে বাড়ির সামনে ফেলে ‘চম্পট’অ্যাম্বুল্যান্স চালকের

কাঠগড়ায় যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতাল।
Posted: 08:59 AM Apr 27, 2021Updated: 09:03 AM Apr 27, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কায় বিপর্যস্ত দেশ। বাংলায়ও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই সংকটের মাঝেও বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের নানা অমানবিকতার ছবি প্রকাশ্যে আসছে বারবার। এবার কাঠগড়ায় দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তথা হাসপাতাল। অভিযোগ, গড়ফার (Garfa) এক করোনা রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল। আর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে বাড়ির সামনে দেহটি ফেলে রেখেই পালায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক। সোমবার রাতের এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গড়ফার বছর একাত্তরের এক বৃদ্ধ। শনিবার তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তাঁকে যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই বৃদ্ধ। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এরপর কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের (KPC Medical College) তরফে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাঁর মৃতদেহ বাড়ির উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁর বাড়ির সামনে মৃতদেহ ফেলে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: গদ্দারদের ক্ষমা নয়, জিতে ফিরে ওদের নিয়ে একটা নীতি নেব: মমতা]

রাতের বেলায় এমন অমানবিক দৃশ্য চোখে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। রাতেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে করোনায় মৃতের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে এবং অ্যাম্বুল্যান্স চালকের অমানবিক আচরণে ক্ষোভ বাড়তে থাকে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় পুর প্রতিনিধি। এই এলাকা কলকাতা পুরসভার ১০৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত। ওয়ার্ডেপর পুরপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত জট কাটে। তাঁর নির্দেশে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয় পুরসভার তরফে। তবে করোনাকালে ঘোর সংকটের মাঝে এই ঘটনায় কেপিসি হাসপাতালের দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। কেন মৃত্যুর পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করে তাদের তরফে মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ির উদ্দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল, চালকই বা কেন রাস্তায় দেহটি ফেলে চম্পট দিলেন – এসব প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে। যদিও গোটা ঘটনায় নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে কেপিসি কর্তৃপক্ষ।

[আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টা ধরে বাড়িতেই পড়ে কোভিড রোগীর মৃতদেহ, তীব্র চাঞ্চল্য লেকটাউনে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement