অর্ণব আইচ: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপিত হল পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে। উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ থেকে আসা ২০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তাঁদের মধ্যে আটজন মুক্তিযোদ্ধা। আর সেখানেই ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিকে সিং সতর্ক করলেন পড়শি দেশকে। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ''যে দেশ নিজের ইতিহাস ভুলে যায়, তারা শেষপর্যন্ত অবলুপ্ত হয়ে যায়।'' অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।
এদিন তিনি আরও বলেন, ''যে প্রজন্ম ১৯৭১ সালে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, তাদের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশের মানুষকে ঠিক করতে হবে তারা কী করবে।'' পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''ভারত চাইবে বাংলাদেশে শান্তি বজায় থাকুক। তাদের অর্থনীতি ঠিকঠাক চলুক। সবাই চাকরি পাক। লোকজনকে যেন অন্য দেশে ছুটে বেড়াতে না হয়।''
ফোর্ট উইলিয়ামে পালিত হচ্ছে বিজয় দিবস। নিজস্ব চিত্র
সোমবারই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি এদেশে আসে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সেদিনই তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এদিনের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম লুৎফর রহমান ও মেজর শের-ই-শাহবাজ। ছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন সেদেশের মহম্মদ হাবিবুল আলম, কামরুল আবেদিন, অলীককুমার গুপ্ত, মনীষ দেওয়ানের মতো অবসরপ্রাপ্ত মেজরেরা।
এদিকে সোমবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন একাত্তরের যুদ্ধে পাক বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করা ভারতীয় জওয়ানদের। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও ভারতীয় সেনা বাহিনীর নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের কথা স্মরণ করেন। একাত্তরের পাশাপাশি সাম্প্রতিক পহেলগাঁও হামলার পর সফল ‘সিঁদুর’ অপারেশনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উল্লেখ করেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ভারতের তিন বাহিনীর অতুলনীয় বীরত্বকে।
