রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ১৯৭৭ সালের নিয়ম আর নয়। ২০২৬ সালের ভোটের আগে আসন বন্টনে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে চাইছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম। সোমবার রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব রাখলেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। শরিক দল সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি প্রস্তাবের বিরোধিতা না করলেও, এখনই তা পাসও হয়নি। শরিকদলের নেতাদের কথায়, আলোচনা চলবে প্রস্তাব নিয়ে।
বাংলায় বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলেছে। বামেরা এখন সংসদীয় ও পরিষদীয় রাজনীতিতে শূণ্য। ভোট নেমে এসেছে পাঁচ থেকে ছয় শতাংশে। তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিএম এখন এ রাজ্যে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে কংগ্রেস, আইএসফকে আঁকড়ে ধরে জোট করে লড়তে চাইছে। গত উপনির্বাচনে আবার এই প্রথম লিবারেশনের সঙ্গে জোট হয়েছিল সিপিএম তথা বামেদের। কাজেই বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্য দলকে নিয়ে জোট করে লড়তে গেলে সকলকেই আসন ছাড়তে হবে কম-বেশি। তাই আগের মতো বামফ্রন্টের শরিক সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক নিজেদের দাবি করা আসন ছাড়বে না বা বাম আমলে পুরনো যে সিটে তারা লড়ত এখনও সেই আসনই তাদের দিতে হবে, এমনটার পরিবর্তন চাইছে সিপিএম।
শরিকদলগুলো নিজেদের আসন ছাড়ার ব্যাপারে জেদাজেদি করে এখনও। কিন্তু ভোটের পর দেখা যায়, সেই আসনে জয় তো আসেই না, জমানতও জব্দ হয় প্রার্থীর। গত লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে গিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে সংঘাত হয়েছিল। ফলে সিপিএম চাইছে বামফ্রন্টের বর্তমান শরিকদের আসন চাওয়ার সেই পুরনো অবস্থান থেকে সরাতে। আর আসনও কম ছাড়া হবে। কারণ, জোট হলে কংগ্রেস, আইএসএফ বা লিবারেশনের মতো অন্য কোনও বাম দল বামফ্রন্টের সঙ্গে এলে তাদেরকে আসন ছাড়ার প্রশ্ন রয়েছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে আলোচনা হবে" ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে আসন সমঝোতায় কোনও শরিকি জটিলতা যাতে তৈরি না হয়, সেই কাজ এখন থেকেই সেরে রাখতে চাইছে সিপিএম।