ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: তিনদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকের ২১১ নম্বর কেবিনে ভরতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তিনি। কখনও তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল তো, আবার কখনও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক সমস্যা বুঝতে একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন। দরকার এমআরআইয়েরও। তবে চিকিৎসকদের দাবি, শারীরিক সক্ষমতা না থাকায় পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না তাঁর। সুস্থ হতে অনুব্রত মণ্ডলের আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে সারদিনে ২০-২২টি ওষুধ খান। তাঁর রক্তচাপ এখনও অনিয়ন্ত্রিত। তবে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক। স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে শর্করার পরিমাণ এখনও বেশি। লিভারের সমস্যাও দেখা গিয়েছে তাঁর। শনিবার ইএনটি’র চিকিৎসকরা দেখেন অনুব্রত মণ্ডলকে। চিকিৎসকদের মতে, তৃণমূল নেতার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এমআরআই, লিভার ফাংশন টেস্ট এবং স্লিপ স্টাডির প্রয়োজন। স্লিপ স্টাডির জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। তাহলে বোঝা যাবে, তিনি দিনে এবং রাতে কতক্ষণ একটানা ঘুমোচ্ছেন, তাঁর ঘুমের মধ্যে শ্বাস নিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। তবে স্লিপ স্টাডি করা সম্ভব হচ্ছে না। এমআরআই, লিভার ফাংশন টেস্টও করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, পরীক্ষা করার মতো শারীরিক অবস্থাও নেই তাঁর, দাবি চিকিৎসকদের।
[আরও পড়ুন: উত্তপ্ত ভূস্বর্গ, শ্রীনগরে জামিয়া মসজিদে দেশবিরোধী স্লোগান! ভাঙচুর জম্মুর মন্দিরে]
গত বুধবার সকালে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার বদলে একাধিক সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভরতি হন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে আট সদস্যের মেডিক্যাল টিম। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগে ভুগছিলেন অনুব্রত। এক্ষেত্রে মুখ খুলে হা করে ঘুমালে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায়। ফলে অক্সিজেন কম পৌঁছনোয় দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে তাই শুক্রবারই তাঁর নাকে অটো সিপ্যাপ মেশিন বসানো হয়।
অনুব্রতকে জেরা করতে না পারার বিষয়টি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে (Delhi) জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁর শারীরিক সমস্যার মাঝে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তা নিয়ে সিবিআই (CBI) একাধিক পদক্ষেপ করছে। শুক্রবারই এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়।