নিরুফা খাতুন: স্বামীর মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী। খবর পেয়ে অশীতিপর বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করল বেহালা (Behala) থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বেহালার শিশির বাগান এলাকায়। মৃতের স্ত্রীয়ের দাবি, তাঁর কাছে মোবাইল ছিল না। সকলের কাছে চেয়েও ফোন পাননি তিনি। তাই স্বামীর মৃত্যুর খবর কাউকে জানাতে পারেননি।
বেহালার শিশির বাগানের বাসিন্দা শংকর চক্রবর্তী। বয়স ৮০ বছর। স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন। শুক্রবার রাতে মৃত্য়ু হয় শংকরবাবুর। কিন্তু তাঁর স্ত্রী কাউকে খবর দিতে পারেননি। উলটে স্বামীর দেহ আগলে বসেছিলেন তিনি। এদিন সকালে বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়ি থেকে বেরতে দেখেনি প্রতিবেশীরা। এর পরই পুলিশে খবর দেয় তারা। যদিও মৃতের স্ত্রী মালা চক্রবর্তীর দাবি, তিনি কাউন্সিলরকে খবর দিয়েছিলেন। পুরপিতাই পুলিশকে খবর দেয়।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার বকেয়া আনবই’, দিল্লি যাত্রার আগে শান্তিপূর্ণ বিরোধিতার বার্তা অভিষেকের]
পুলিশ এসে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শংকরবাবুর স্ত্রী মালাদেবীর দাবি, গতকাল সন্ধেয় অনেকের কাছে মোবাইল চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ ফোন দেয়নি। ঘরের ফোন খারাপ ছিল। শেষপর্যন্ত কাউন্সিলরকে জানান। যদিও মহিলার মানসিক স্বাস্থ্য় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁদের কোনও সন্তান বা আত্মীয়ের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি।