ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর (Buddhadeb Bhattacharjee) শারীরিক পরিস্থিতিতে মুখে হাসি ফুটল চিকিৎসকদের। সোমবার বিকেলের আগেই তাঁকে ভেন্টিলেশন মুক্ত করা হয়েছে। আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল। তবে ভেন্টিলেশন (Ventilation) থেকে বের করার পর ৭৯ বছরের কমরেডকে রাখা হয়েছে বাইপ্যাপ (BiPAP) সাপোর্টে। শারীরিক অবস্থা একইরকম থাকলে দিন তিনেক পর্যবেক্ষণের পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ছুটি দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার বিকেলে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
গত শনিবার ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ৭৯ বছরের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভরতি হন আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। এখানেই বরাবর তাঁর চিকিৎসা হয়। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন ছিল যে চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড (Medical Board) গঠন করা হয়। তাঁরাই বরাবর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছিলেন। প্রথম দিকে বুদ্ধদেববাবুর অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। সোমবার সকালে তাঁর সিটি স্ক্যান-সহ অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। সেসব রিপোর্ট বেশ সন্তোষজনক বলেই জানান চিকিৎসকরা। রক্তে অক্সিজেনের (Oxygen) মাত্রা, রক্তচাপ, সংক্রমণের মাত্রা সবই অনেকটা স্বাভাবিকের কাছাকাছি।
[আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বললে বিতর্ক হবেই’, বিস্ফোরক যোগী]
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত রিপোর্ট দেখে মুখে হাসি ফুটেছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এরপরই ধীরে ধীরে ভেন্টিলেশন থেকে তাঁকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরীক্ষামূলক ভাবে একে একে প্রতিটি যন্ত্র খোলা হয়। বিকেলের আগেই সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন মুক্ত করা হয় তাঁকে। রাখা হয় বাইপ্যাপ সাপোর্টে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সব স্বাভাবিক থাকলে তিনদিন পর ছুটি মিলতে পারে। তবে বাড়ি ফিরলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে চিকিৎসদের পরামর্শ মতো কঠোর নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে।