অর্ণব আইচ: বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের (Fire) জেরে পুড়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধার। দক্ষিণ কলকাতার নেতাজি নগরে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২ টি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীরাই বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেন। তবে কী কারণে বাড়িতে আগুন লাগল, তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নেতাজি নগর (Netaji Nagar)থানা এলাকার ৪/২৫, বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়িটিতে আগুন লাগে। এটি একটি টালির ছোট বাড়ি। প্রতিবেশীরাই প্রথম অগ্নিশিখা দেখে দমকল এবং পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ছুটে যায় নেতাজি নগর থানার পুলিশও। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এরপর বাড়ির তালা ভেঙে এক বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন দমকল কর্মী, পুলিশ। কিন্তু শরীরের অধিকাংশই পুড়ে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেননি তিনি। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার নাম বকুল অধিকারী, বয়স ৭২ বছর। কীভাবে ঘরে আগুন লাগল, তা এখনও অজ্ঞাত।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে একের পর এক দলত্যাগে বিদ্ধ বিজেপি, গড় বাঁচাতে টিকিট ৪৯ দলিত নেতাকে]
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিদ্যাসাগর কলোনিতে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর। আগুন নেভানোর কাজ চলাকালীনই ঘর থেকে পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। তারপর তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, কোনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে এলেও প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বকুলদেবীর একটি হাত অবশ, মানসিকভাবেও কিছুটা ভারসাম্য়হীন ছিলেন। ছেলের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন। এদিন ছেলে বেরিয়ে যাওয়ার পর নিজেই ঘরে তালা দিয়েছিলেন। বাড়িতে আগুন লেগেছে, তা টের পেয়ে নিজেই ঘর থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনওভাবে বেরতে পারেননি। ঘরের মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা, ঝাড়খণ্ড পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ মাওবাদী শীর্ষনেতার]
দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, টালির ছাদ থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। এলাকাটি ঘিঞ্জি। তাই আগুন নেভাতেও সমস্যা হয় তাঁদের। অন্যদিকে, ঘর থেকে বেরতে চাইলেও তা পারেননি বকুলদেবী। অসহায়ভাবে আগুনের গ্রাসে চলে যেতে হয়েছে তাঁকে। শর্ট সার্কিট থেকেই কি আগুন লাগল নাকি অন্য কোনও ঘটনা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।