দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সপ্তাহ শুরুর সকালেই বিপত্তি। গড়িয়া (Garia) স্টেশনের কাছে সাতসকালে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন (Fire) নেভানোর কাজে হাত লাগায়। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খান দমকল কর্মীরা। পরে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও আগুন এখনও নেভেনি বলেই খবর। এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বড় বিপদ এড়াতে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ।
সোমবার ঘড়িতে সবে । গড়িয়া স্টেশনের কাছে একটি স্পিকার (Speaker) তৈরির কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন আশপাশের বাসিন্দারা। এলাকাটি যথেষ্ট ঘিঞ্জি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়াতে থাকে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। কারখানার ২০০ মিটারের মধ্যে তেঁতুলবেড়িয়া অনুকূলচন্দ্র হাই স্কুল-সহ মোট চারটি স্কুল। সকালে স্কুলের পাশেই আগুন লাগার খবর পেয়ে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। পড়ুয়াদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁরা। এমনকী অগ্নিকাণ্ডের জেরে স্থগিত হয়ে যায় স্কুলের পরীক্ষাও।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটের আবহে মায়ের সঙ্গে ‘চায়ে পে আড্ডা’ মোদির, ভিডিও ভাইরাল]
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে কারখানার পাশের রাস্তা সরু হওয়ায় এবং এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকল কর্মীরা কাজ করতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন। ধীরে ধীরে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে ৭টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে। হাইড্রলিক ল্যাডারের সাহায্যে জল ছড়িয়ে আগুন নেভানোর কাজে নেমেছেন দমকলকর্মীরা। ঘরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় এই বিপদ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী বায়ু দূষণের মাত্রা, নির্মাণ ও ইমারত ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা জারি দিল্লিতে]
স্কুল এবং আশেপাশে বাড়িতে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য গোটা এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কীভাবে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দমকল সূত্রে খবর। স্পিকার তৈরির কারখানাটিতে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হল বলেই অনুমান।