ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তীব্র উত্তেজনা। ওই শিশুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ শিশুর পরিবারের। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসূতি উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় গত ২৮ অক্টোবর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (R.G.Kar Medical College & Hospital) ভরতি হন তিনি। সি সেকশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন প্রসূতি। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে নর্ম্যাল ডেলিভারিই করা হয়েছিল তাঁর। প্রসূতির পরিবারের দাবি, জন্মের পর থেকে সন্তান সুস্থ স্বাভাবিকই ছিল। তবে পাঁচদিনের মাথায় শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে একরত্তির।
[আরও পড়ুন: সল্টলেকের গেস্ট হাউসে যুবক খুনে গ্রেপ্তার বান্ধবী ও নতুন ‘প্রেমিক’, রহস্যের জট খোলার আশা]
নিহত শিশুর পরিবারের লোকজনের দাবি, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে একরত্তির। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। এই অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখান নিহত খুদের পরিজনেরা। যদিও এ বিষয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে বেড ভেঙে বিপত্তি। বেড ভেঙে নিচে পড়ে যান প্রসূতি। তাঁর কোমরে চোট লাগে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, যেকোনও মুহূর্তে বড়সড় কোনও ক্ষতি হতে পারত। অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভস্থ সন্তান দু’জনেরই প্রাণহানির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।