অর্ণব আইচ: খুনের হুমকি পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। চিঠিটি পাঠানো হয় তাঁর স্ত্রী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
জানা গিয়েছে, হুমকি চিঠির কথা পুলিশকে জানিয়ে মঙ্গলবার মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) স্ত্রীয়ের উদ্দেশে স্পিড পোস্টে একটি চিঠি আসে। খাম খুলে দেখা যায়, তাতে লেখা রয়েছে যে, তাঁর স্বামীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। ওই চিঠিটি হাতে পাওয়ার পর আলাপনবাবু পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। ওই চিঠি ও খামের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা, কোন জায়গা থেকে এই চিঠিটি পাঠিয়েছে, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে কি না, সে বিষয়টিও যাচাই করা দেখা হবে। তবে আচমকা এমন চিঠি এসে পৌঁছনোয় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগে সস্ত্রী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: দিঘার সমুদ্র থেকে একসঙ্গে উঠল ৩৩টি তেলিয়া-ভোলা মাছ, দাম ১ কোটি টাকা!]
উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরেই আলাপনবাবুকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। চলতি বছর মে মাসে যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে কলাইকুণ্ডায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কেন্দ্রের তরফে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যশ বিধ্বস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজে ব্যস্ত বলে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন আলাপন। এই নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত।
এরপর ঘটনাক্রম ধীরে ধীরে এগিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল DoPT (Department of Personnel Training)। পালটা কেন্দ্রের এই বিভাগের তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (CAT) দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলাপনবাবু। কিন্তু এ রাজ্যের বেঞ্চে তাঁর আবেদনের শুনানি না করে মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে ক্যাট। তাদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবারই কলকাতা হাই কোর্টে যান প্রাক্তন মুখ্যসচিব। আর তারপরই সামনে আসে হুমকি চিঠির কথা। এই ঘটনার সঙ্গে সেই চিঠির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, সে প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে পুলিশ।