অর্ণব আইচ: গড়িয়াহাটের (Gariahat) কাঁকুলিয়ায় শিল্পকর্তা এবং তাঁর গাড়িচালক খুনে ধৃত মূল অভিযুক্ত ভিকি। তার সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুম্বইয়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের পার্কিং লট থেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা তাদের গ্রেপ্তার করে। ট্রানজিট রিমান্ডে ওই দুই ধৃতকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
৭৮ এ কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে একসময় থাকতেন শিল্পকর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল। স্ত্রী এবং মাকে নিয়ে নিউটাউনের অভিজাত আবাসনেই থাকতেন শিল্পকর্তা সুবীর চাকি। গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি বিক্রি করবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী ক্রেতাও খুঁজছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন বিজ্ঞাপন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপন দেখে শিল্পকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত মিঠু হালদারের ছেলে ভিকি। পুজোর সময় ব্যস্ত ছিলেন শিল্পকর্তা সুবীর চাকি। তাই ভিকির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি। দ্বাদশীর দিন গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন সুবীর চাকি। সেখানেই শিল্পকর্তা এবং তাঁর গাড়িচালককে খুন করে ভিকি।
[আরও পড়ুন: হুগলির বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ‘ডক্টর চকোলেট’, ব্যাপারটা কী?]
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে ভিকির মা মিঠুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পারুলিয়া থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত ভিকিকে কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, গত শনিবার রাতে মুম্বইয়ে হানা দেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
মুম্বইয়ের পারেলের সেন্ট জেভিয়ার্স স্ট্রিটের ৪৮ তলা নির্মীয়মাণ বহুতলের পার্কিং লট থেকে ভিকি এবং তার সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে।
শিল্পকর্তা এবং তাঁর গাড়িচালককে খুনের আগে বাবাকে খুনের চেষ্টায় গ্রেপ্তার হয় ভিকি। অভিযোগ ওঠে মুখ, হাত ও পা বেঁধে বাবাকে খুনের চেষ্টার পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সে। বেশ কয়েকদিন জেলেও থাকে ভিকি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই শিল্পকর্তাকে খুনের ছক কষে বলেই অনুমান পুলিশের।