সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া ডিএ (DA) আদায়ের দাবিতে আজ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটে নেমেছেন সরকারি কর্মীরা। পালটা ধর্মঘট রুখতে সবরকমভাবে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসনও। বৃহস্পতিবার বিকেলেই সরকারি কর্মীদের ধর্মঘটে শামিল হওয়া থেকে আটকাতে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন (Nabanna)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার যদি সরকারি কর্মীরা হাজির না থাকেন, তাহলে তাঁদের বেতন তো কাটা যাবেই, সার্ভিস ব্রেক হবে। আর শুক্রবার সকালে আরও কড়া রাস্তায় হাঁটল রাজ্য প্রশাসন। এদিন জেলায় জেলায় ‘অ্যাটেনডেন্স ফরম্যাট’ পাঠানো হয়েছে। তাতে চার বেলা হাজিরায় সই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনও কর্মী অফিসে গিয়ে কাজ করছেন কিনা, কাজের গোটা সময় উপস্থিত রয়েছেন কি না, তা একেবারে আতসকাচে যাচাই করে নিতে চাইছে নবান্ন।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকাল ১০.৪৫এ সরকারি অফিসে উপস্থিত হয়ে প্রথম হাজিরা খাতায় সই করতে হবে কর্মীদের। এরপর বেলা ১২টা, দুপুর ১.৩০এ সই করে নিজের কর্মপরিচয় জানাতে হবে। বিকেল ৫টা অর্থাৎ ছুটির সময় ফের আরেকদফা সই করতে হবে। অর্থাৎ গোটা কর্মসময়ের ৪ বার সই করে কোনও কর্মীকে প্রমাণ দিতে হবে যে তিনি ডিএ ধর্মঘটে (DA Strike) শামিল হননি, নিয়ম মেনে অফিসে কাজ করেছেন।
[আরও পড়ুন: বক্তব্যে অসংগতি! গাড়ির নথি নিয়ে মঙ্গলবার ফের বনিকে তলব ইডির]
সূত্রের খবর, সকাল ১১টা নাগাদ নবান্ন-সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরগুলিতে কর্মীদের হাজিরা ৯২ শতাংশ। কলকাতা পুরসভায় (KMC) কর্মীদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবে অফিসে প্রবেশাধিকার মিলছে। তবে পুরসভার বাইরে বিক্ষোভ জারি। ভিতরে অবশ্য পুরো কাজের পরিবেশ। সবমিলিয়ে, কলকাতার সরকারি দপ্তরগুলিতে ধর্মঘটের রেশ নেই বিশেষ।
[আরও পড়ুন: ব্যাংকে ওভারড্রাফট ৫০ কোটি? বিপত্তি রাজ্য বিজেপির]
তবে জেলায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়ছে বলেই খবর। এদিন ধর্মঘট ঘিরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়েছে টিএমসিপি ও AIDSO. বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন AIDSO-র তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গেটে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। টিএমসিপির সদস্যরা তাতে বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, AIDSO সদস্যদের মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে। এছাড়া বাঁকুড়ায় ডিএম অফিসে কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।