অর্ণব আইচ: মাত্র ৩ ঘণ্টায় বদলে গেল গল্প! হরিদেবপুরে (Haridevpur) নাবালিকাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় নতুন টুইস্ট। মা ও তার প্রেমিক নয়, বরং কিশোরী নিজেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে মা ও তাঁর বন্ধুকে ফাঁসানোর ছক কষেছিল সে। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নামতেই বানচাল হয়ে গেল সেই ষড়যন্ত্র। বরং উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ওই কিশোরীর মা সোনালী চন্দ ও বাবা কৌশিক চন্দের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সেই সময় বারাসতের পুলিশ কর্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সেই সম্পর্ক একেবারেই পছন্দ ছিল না সোনালীদেবীর মেয়ের। তাই মা ও তাঁর প্রেমিকের সম্পর্ক ভাঙতে ষড়যন্ত্র শুরু করে সে। আর সেই কুকীর্তি করতে প্রযুক্তির সাহায্য নেয় সে। ইউটিউব দেখে পুরো বিষয়টি শিখেছিল সে।
[আরও পড়ুন: বন্ধের মুখে? আর্থিক সংকটে পরপর দু’দিন গো ফার্স্টের সব বিমান বাতিল]
জানা গিয়েছে, প্রথমে সোনালী দেবীর মোবাইল ক্লোন করে ১৬ বছরের কিশোরী। তারপর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রসূন-সোনালীর কথোপকথন পড়ে। এরপর ফটোশপের সাহায্যে চ্যাটের ভুয়ো স্ক্রিনশট বানায়। যেখানে দেখানো হয়, মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে খুনের ছক কষছে মা ও তাঁর প্রেমিক। এরপর নিজেই হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটের ঘরে আগুন লাগিয়ে দমকলে ফোন করে। কিশোরী প্রমাণের চেষ্টা করে তার মা ও প্রেমিক আগুন লাগিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করছে। এরপর নিজেই চিঠি লিছে পুলিশের কাছে স্ক্রিনশট-সহ অভিযোগ জমা করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোনালী দেবী ও প্রসূন মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ফোনের সঙ্গে স্ক্রিনশট মিলিয়ে দেখতে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। চ্যাটের সঙ্গে স্ক্রিনশটের কোনও মিল পায় না তারা। এরপরই ওই অভিযোগকারী কিশোরীকে জেরা শুরু করে পুলিশ। টানা জেরার মুখে ভেঙে পরে কিশোরী। তারপরই প্রকাশ্য়ে আসে পুরো বিষয়টি।