সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিঙ্গার ল্যাকটেট ব্যবহার আপাতত নিষিদ্ধ করল স্বাস্থ্যদপ্তর। স্যালাইনের গুনমান নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে দফায়-দফায় বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা দপ্তরের স্পেশাল সেক্রেটারি ডা. অনিরুদ্ধ নিয়োগী। আলাদা করে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের সুপার, প্রিন্সিপালদের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বিশেষজ্ঞদের কমিটি। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্যভবন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ব্যবহৃত ওষুধের গুনমানও। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আপাতত রিঙ্গার ল্যাকটেট ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বলা হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্যালাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন বের করে আনা হয়েছে।
তবে বলা রাখা ভালো, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে অর্থাৎ প্রায় একবছর আগে কর্ণাটকে এই সংস্থার স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তারপরও কেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে সোমবার হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিশেষজ্ঞ কমিটির দাবি, ‘অভিযুক্ত’ রিঙ্গার ল্যাকটেট থেকে বিষক্রিয়া ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। বরং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কাছে জমা পড়া রিপোর্টে ‘হিউম্যান এরর’ এবং অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকেই দায়ী করা হয়েছে।