সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। রাজ্যের বঞ্চিতরা যাতে যে কোনও মূল্যে প্রাপ্য টাকা পান, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের কাজে (MGNREGA) রাজ্যের বকেয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই জানালেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। একই সঙ্গে তাঁর স্বীকারোক্তি, রাজ্যের কিছু ভুল হতে পারে। সব রাজ্যেরই হয়।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে (Calutta High Court)। একটি করেন শুভেন্দু অধিকারী, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির প্রতিবাদে। আরেকটি করে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতি প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে। এদিন দুটি মামলারই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
[আরও পড়ুন: ককপিটে বসে রশ্মিকার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেন রণবীর! ছবি ভাইরাল হতেই হইচই]
শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন,” রাজ্য এ নিয়ে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় না। এটি একটি জনস্বার্থ মামলা। আমরা চায় রাজ্যের আসল উপভোক্তারা যেন প্রকল্পের সুবিধা পান। রাজ্য কখনও ভুল করে না এটা আমি বলব না। কিছু ভুল হতে পারে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অনেক রাজ্যের ক্ষেত্রেই হয়। প্রশ্ন হল, রাজ্য যে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ পাঠিয়েছিল, এক বছর পেরিয়ে গেলেও কেন তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাল না কেন্দ্র?
[আরও পড়ুন: ১০০ ডায়ালে ফোন করে আত্মহত্যার ‘ইচ্ছাপ্রকাশ’ পুরসভার কর্মীর, প্রাণ বাঁচাল পুলিশ]
এই মামলায় বক্তব্য জানাতে কেন্দ্র সময় চেয়েছে। কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট বলছে, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ৪৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কোনও অডিট রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।” আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে হলফনামা দিতে হবে। তারা জানাবে, রাজ্য যে দ্বিতীয় ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ পাঠিয়েছিল তা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।