shono
Advertisement

ডিএ আন্দোলনকারীদের নেপথ্যে হিন্দু মহাসভা? অর্থদানের রসিদ প্রকাশ্যে এনে টুইট কুণাল ঘোষের

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল মুখপাত্রের।
Posted: 12:15 PM Apr 17, 2023Updated: 01:59 PM Apr 17, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া ডিএ’র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি পৌঁছে গিয়েছে দিল্লির দরবারে। সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। অনেকেই তাঁদের দাবিতে সমর্থন জানিয়ে ধরনামঞ্চে দেখা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা (Akhil Bharat Hindu Mahasabha)। তাদের সঙ্গে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আর্থিক লেনদেনের নথি টুইট করে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নথিতে দেখা যাচ্ছে, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে দেওয়া দুটি আলাদা বিলে ১ লক্ষ ও ৭৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। সেই রসিদের ছবি প্রকাশ্যে এনে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রশ্ন, এই রসিদ আসল না নকল? যদি আসল হয়, তাহলে যৌথ মঞ্চ দিল্লিতে কাদের আশ্রয়ে ছিল, কোথায় ছিল বুঝে নিন।

Advertisement

এ বিষয়ে তিনি ফের বিরোধী জোটে উসকানির অভিযোগ তুলেছেন। টুইটে তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি,  ”মঞ্চের পর্দার পিছনে মুখগুলো স্পষ্ট হচ্ছে – রামবামকং।” ডিএ আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর দাবি, রসিদ ভুল হলে মঞ্চ জানাক। 

[আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার জীবনকৃষ্ণ সাহা]

উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ’র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মতলায় ধরনা করছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টে বারবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁরা খানিকটা হতাশ হলেও, দিল্লির দরবারে নিয়ে গিয়েছেন নিজেদের আন্দোলনকে। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সূচি রয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের। ডিএ আন্দোলনের নেপথ্যে বিরোধীদের উসকানির অভিযোগ বহুদিন ধরেই করে আসছে শাসকদল তৃণমূল। এবার হিন্দু মহাসভার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের একটি নথি দেখিয়ে ফের সেই দাবি তুললেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এনিয়ে এখনও সংগ্রামী মঞ্চের তরফে কিছু পাওয়া যায়নি।  

[আরও পড়ুন: দণ্ডিকাণ্ডের প্রতিবাদ, বন্‌ধ সফল করতে তির-ধনুক হাতে রাস্তায় নামলেন আদিবাসীরা]

এদিকে, ডিএ আন্দোলনের জট কাটাতে ফের একবার উদ্যোগী কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)।  ডিএ মামলায় মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দু’পক্ষকে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক করা হোক, যেখানে কর্মচারীদের পাঁচজন প্রতিনিধি থাকবে। এমনই পরামর্শ প্রধান বিচারপতির। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement