অর্ণব দাস, বারাকপুর: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যরা (Manik Bhattacharya) দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে এসেছেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দলের বিজয়া সম্মিলনীতে দাঁড়িয়েও আত্মোপলব্ধির কথা শোনা গেল বর্ষীয়ান সাংসদের মুখে। বলে দিলেন, দলের কিছু লোককে দুর্নীতি করতে দেখলে তিনি ব্যাথিত হন।
মঙ্গলবার বরানগরে বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সৌগত বলেন, “আমি খুব ব্যথিত হই যখন দেখা যায় আমাদের পার্টির কিছু লোক দুর্নীতি করেছে। আমি দুঃখিত হই, যাদের ছোট থেকে দেখেছি তারা কখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়লেন টের পাইনি। তবে আমার নিজের ধারণা তৃণমূলের ৯৫ শতাংশ নেতাকর্মীরা সৎ। তারা ভাল, তারা পার্টি করতে চায়।”
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় গুপ্তধন: শৈলেশ পাণ্ডের আরও ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ, মোট লেনদেন ১৩৪ কোটি!]
তবে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও নেতাকর্মীরা যে দলের সঙ্গেই আছেন, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সৌগত (Sougata Roy)। তার সংযোজন, “আমার মনে হয়েছিল হয়তো সম্প্রতি দুর্নীতির ঘটনায় আমাদের কর্মীদের কেউ কেউ হতাশ হয়ে থাকতে পারেন, দুঃখিত হয়ে থাকতে পারেন, নিরাশ হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু এই বিজয়া সম্মেলনী আরেকবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কর্মীরা আমাদের থেকে অনেক বেশি বোঝেন এবং সচেতন। তাই একজনও বসে যাননি। বরং বেশি উৎসাহ নিয়ে বেশি সংখ্যায় আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। তাই আমি কর্মীদের সালাম জানাই।”
[আরও পড়ুন: ফ্ল্যাটে আটকে রেখে হরিদেবপুরে নাবালিকাকে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৫]
সম্প্রতি একাধিকবার সৌগতকে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। যার সাফাই দিতে গিয়ে দমদমের (Dumdum) সাংসদ বলেন, “আমাকে অনেকে বলল আমি কড়া কথা বলেছি। অনেকে আবার বলল, আপনি এসব কেন বললেন। এগুলো বলার একটা কারণ হচ্ছে আমাদের কর্মীরা যাতে বিমর্ষ না হয়ে যায়। আরেকটা কারণ হল, আমি নিজেকে দিয়ে বিচার করি। আমি দুর্নীতি করিনি। কেন বলবে সব তৃণমূল চোর। কোন অধিকার আছে তাদের। বললে আমি রুখে দাঁড়াবই। চোর ধরো জেলে ভরো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর, এই সব বললে যারা চুপ করে শোনে, তারা তৃণমূল (TMC) কর্মী নয়। রুখে দাঁড়িয়ে এর প্রতিবাদ করতে হবে।”