ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে সুবিচারের দাবি জারি রেখে প্রায় ৫৮ দিন পর অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এবার সরকারকে নিজেদের দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন তাঁরা। এই মুহূর্তে তাঁদের মূল দাবি, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। ধর্মতলা থেকে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের ঘোষণা, জনতার পক্ষে থেকে কর্মবিরতি তোলা হল। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন।
শুক্রবার সন্ধেবেলা তাঁদের মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলা চত্বরে। সেখানে মঞ্চ বাঁধা নিয়ে পুলিশ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের বচসায় আন্দোলনকারীদের টানাহ্যাঁচড়া করে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরই ধর্মতলা মোড়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তার ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তার একাংশ। ভোগান্তির শিকার হন পথচলতি মানুষজন। এখান থেকেই অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
মহালয়ার পর শুক্রবার ফের সুবিচারের দাবিতে পথে নামে তাঁরা। এদিন এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ বেঁধে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে মঞ্চ বাঁধার জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম-সহ ছোট ম্যাটাডোর আসে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মঞ্চ বাঁধতে বাধা দেয়। এক জুনিয়র চিকিৎসকের উপর হামলা করা হয়। মোবাইল ফোন ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। এমনকী বেশ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরই পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে জুনিয়র চিকিৎসকদের। পুলিশকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এর পর ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সেখান থেকেই ঘোষণা করেন, ''৫৮ দিনের মাথায় কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হল। যদি কেউ মনে করেন, সরকারের কাছে নতি স্বীকার করলাম, তাহলে ভুল। আমরা জনতার পক্ষে থেকে, অভয়ার বিচারের পক্ষে থেকে এই সিদ্ধান্ত নিলাম।''