ধীমান রক্ষিত: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হেনস্তা ও পড়ুয়া জখম হওয়ার ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এসএফআই-সহ অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ক্লাস বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষা নিয়েও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। সোমবার পর্যন্ত ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। তারপর আরও কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে এসএফআই নেতৃত্ব। এবার সেসব বিষয় নিয়ে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের প্রতি আবেদন করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)। পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরা ও পরীক্ষা শুরুর আবেদন জানানো হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়েছে, "বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় অংশে ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কট চলছে। অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার-সহ পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ছাত্রছাত্রীদের উত্থাপিত অভিযোগগুলিও এর আওতায় আছে।" আবেদনে আরও লেখা হয়েছে, "আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে সমস্ত পরিসরে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো পুনর্বহাল করা বিষয়ক দাবিগুলি ন্যায্য ও সঙ্গত। তবুও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের অনুরোধ ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত তোমরা পুনর্বিবেচনা কর।" জুটার তরফ থেকে এই আবেদন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে এসএফআইয়ের নজিরবিহীন অশান্তি দেখা যায়। সেই প্রেক্ষিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে জোর তরজা রাজনৈতিক মহলে। শাসক-বিরোধী সংঘাতও পৌঁছেছে চরমে। যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসুক। এই আবেদনে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে বাম ছাত্র সংগঠন। চলতি সপ্তাহ থেকে সম্পূর্ণ অচলাবস্থা চলছে। পরীক্ষা ও ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগেই। এছাড়াও সোমবারের পর থেকে আরও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে? তাই নিয়ে জোর চর্চা চলছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বৈঠক ডেকেছিলেন। তিনি ঘটনার বিষয়ে জেনেছেন। কিন্তু অচলাবস্থা কোন পথে কাটবে? সেই প্রশ্ন থাকছেই।
