shono
Advertisement
Kalyan Banerjee

'সুন্দরী হলে আর ফটর ফটর ইংরেজি বললেই অপমান করা যায় না', মহুয়াকে তোপ কল্যাণের

একা মহুয়া নয়, কল্যাণ নিশানা করেছেন কীর্তি আজাদকেও।
Published By: Paramita PaulPosted: 05:59 PM Apr 08, 2025Updated: 08:28 PM Apr 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহুয়া-কল্যাণের তরজা যেন থামছেই না! নির্বাচন কমিশনের সামনে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের পর সাংবাদিক বৈঠকেও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) । বরং খোঁচা মেরে বলেছেন, শুধু সুন্দরী হলে আর ফটর ফটর করে ইংরেজি বললেই অপমানের অধিকার মেলে না। যদিও কথার মাঝে একবারের জন্যেও মহুয়ার নাম নেননি তিনি। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত যে মহুয়ার দিকেই ছিল তা বোঝা গিয়েছে সহজেই। তবে একা মহুয়া নয়, কল্যাণ নিশানা করেছেন কীর্তি আজাদকেও।

Advertisement

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কল্যাণ বলেন, "সংসদে শুধু নরেন্দ্র মোদি এবং আদানির বিরুদ্ধে কথা বলেন ওই মহিলা সাংসদ। আর কারও বিরুদ্ধে কোনও কথা নেই। আর আমি দলের হয়ে সব ক্ষেত্রে লড়াই করিষ। মানুষের স্বার্থে কথা বলি। তুমি তো এক শিল্পপতির হয়ে আর এক শিল্পপতিকে আক্রমণ কর!" একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা, "সব সহ্য করব, এমন অসভ্যতা সহ্য করব না।" শ্রীরামপুরের সাংসদের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে নিয়েও মন্তব্য় করেছেন ওই মহিলা সাংসদ। এমনকী, তাঁকেও কটূক্তি করেছেন ওই মহিলা সাংসদ। এ প্রসঙ্গে কল্যাণের (Kalyan Banerjee) সাফ বার্তা, মহিলা বলে পুরুষদের অপমান করে যাবেন? এই অধিকার তাঁকে কেউ দেয়নি। একইসঙ্গে খোঁচা, শুধু ইংরেজিতে ফটর ফটর করে গেলেই অপমানের অধিকার মেলে না। মহুয়া মৈত্রের অতীত রাজনৈতিক জীবন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কল্যাণের দাবি, কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতার বান্ধবী হওয়ার জন্য জেলা রাজনীতিতে উচ্চপর্যায়ে স্থান পেয়েছেন ওই মহিলা সাংসদ।

দিল্লির রাস্তায় তৃণমূল সাংসদদের বাকযুদ্ধের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী, সাংসদদের গ্রুপের চ্যাটও ভাইরাল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কল্য়াণের ধারণা, বাইরে থেকে আসা কোনও তৃণমূল সাংসদই এই ভিডিও ভাইরাল করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভিডিওটা আমাদেরই একজন সাংসদ, যে বাইরে থেকে এসেছে, সেই বাজারে ছেড়ে দিয়েছে।" এর একটা নেপথ্য কারণ রয়েছে বলেও দাবি করেন কল্য়াণ। তিনি জানান, কীর্তি আজাদ কয়েকজন মহিলা সাংসদ, দু'চার জন পুরুষ সাংসদের চিঠি নিয়েছিল। স্পিকারের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, চিত্তরঞ্জন পার্কের সন্দেশের দোকানের কাউন্টার খোলা হোক সংসদে। কল্যাণ বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর কথায়,"তৃণমূল বেসরকারি ব্যবসাতে আগ্রহী নয়। আমাকে বলা হয়, ব্যক্তিগত বিষয়! তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ হয়েছে। সাংসদদের সই সংগ্রহ করছে। ব্যক্তিগত বিষয় হল কী করে? চিঠি জমা দিতে পারেনি। তাই আমার উপর রাগ।" যদিও বিষয়টি নিয়ে মহুয়া (Mahua Moitra) বা কীর্তির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • নির্বাচন কমিশনের সামনে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের পর সাংবাদিক বৈঠকেও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • বরং খোঁচা মেরে বলেছেন, শুধু সুন্দরী হলে আর ফটর ফটর করে ইংরেজি বললেই অপমানের অধিকার মেলে না।
  • যদিও কথার মাঝে একবারের জন্যেও মহুয়ার নাম নেননি তিনি।
Advertisement