অর্ণব আইচ: কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও এক। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ আলি। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে আসা অস্ত্র লুকিয়ে রাখার দায়িত্বে ছিল ধৃত ওই ব্যক্তি। শুক্রবার কসবার গুলশন কলোনি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনিয়ে কসবা গুলি কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। ধৃত মহম্মদ আলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনে বসে থাকার সময় হামলা হয় কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর। বাইকে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে। তবে শেষ মুহূর্তে বন্দুকের ট্রিগার লক হয়ে যাওয়ায় গুলি বেরয়নি। বরাতজোরে প্রাণে রক্ষা পান ১০৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। কলকাতা পুলিশ সিট গঠন করে তদন্তে নামে। এর মধ্যে হামলার অন্যতম মূল চক্রী-সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার মাস্টারমাইন্ড গুলজার বিহার থেকে দুটি অস্ত্র এনে এই মহম্মদ আলির কাছে রাখতে দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি 7MM ও একটি 9MM পিস্তল। ঘটনার দিন আলির গুলশন কলোনির বাড়ি থেকে অস্ত্রগুলি নিয়েই বাইকে করে সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার জন্য বেরয়। কিন্তু মিশন ব্যর্থ হওয়ায় বাইক, অস্ত্র ফেলে পালায় তারা। পুলিশ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পরে বাইকটি উদ্ধার করে। ধৃতদের জেরার মাঝেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বিহারের মুঙ্গের থেকে আনা অস্ত্রে তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের ছক হয়েছিল। অস্ত্র রাজ্যে এনে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে মহম্মদ আলির নাম। শুক্রবার তাকে নিজের ডেরা গুলশন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করে কসবা থানার পুলিশ। এই চক্রান্তে তার আরও কী ভূমিকা ছিল,আর কারাই বা জড়িত, আলিকে জেরা করে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।