সুব্রত বিশ্বাস: খোলনলচে বদলাতে চলেছে হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station)। সঙ্গে কলকাতা স্টেশনেও হবে রিডেভলপমেন্ট। তবে প্রথম পর্যায়ের এই উন্নয়নের নিরিখে আসেনি শিয়ালদহ স্টেশন। হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনের উন্নয়নের পরিকাঠামোর ডিজাইন তৈরি করে রেলের ঘরে পাঠিয়েছে নিয়োগ করা পরামর্শদাতা সংস্থা। কলকাতা স্টেশনের উন্নয়নের পরিকাঠামো রেলের কর্তাদের কাছে গ্রহণীয় হলেও হাওড়া স্টেশনের একাধিক পরিবর্তন এনে ফের ডিজাইন তৈরি করতে বলেছে রেল।
স্টেশন রিডেভলপমেন্টে স্টেশনগুলিকে বিমানবন্দরের ধাঁচে তৈরি করা হবে। প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার সুবিধাকে মূল গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হাওড়ার ডিআরএম মণীশ জৈন জানান,হাওড়া স্টেশনটি দু’টি তলে ভাগ করা হবে। ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীরা সরাসরি দোতলায় পৌঁছে যাবেন। দোতলার সঙ্গে স্টেশনের চতুর্দিকে যোগাযোগ রাখতে তৈরি হবে একাধিক উড়ালপুল। স্টেশনের সামনে ও পিছনে বঙ্কিম সেতুর সঙ্গে যুক্ত হবে উড়ালপুলগুলি। যাত্রীরা সুবিধামতো রাস্তা ধরে পৌঁছে যাবেন স্টেশনের দোতলায়। সেখানেই থাকবে লাউঞ্জ, বিনোদনের জায়গা, বিভিন্ন শপিং মল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটার জায়গা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে প্লেস করলে যাত্রীরা সেখান থেকে নেমে যাবেন একতলায়। ধরবেন ট্রেন।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর কাণ্ড রাজস্থানে, তলোয়ার দিয়ে ৯ বছরের ভাইজির মুন্ডু কেটে নিল নাবালিকা!]
ডাউনে আসা যাত্রীরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে বাস স্ট্যান্ডে যাতে সরাসরি পৌঁছতে পারেন, সেজন্য বেরনোর পথগুলি প্রশস্ত করা হবে। এক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে দূরপাল্লার যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে যাতে নির্বিঘ্নে পৌঁছতে পারেন সেজন্য সাবওয়েটির উন্নয়ন করা হবে। সাবওয়েতে নামা—ওঠার জন্য লিফট ও এসকালেটর লাগানো হবে। সাবওয়েটি করা হবে ঝাঁ চকচকে। পুরনো স্টেশন থেকে নতুন স্টেশনে যাতায়াতকারী গঙ্গার ধারের রাস্তাটি দু’টি স্তরে হবে। নিচ দিয়ে যাত্রীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করবে। উপরে উড়াল পুল দিয়ে চলাচল করবে গাড়ি। যাতে চড়ে যাতায়াত করবেন যাত্রীরা।
কলকাতা স্টেশনটিও দোতলার হবে। যাতে যাত্রীরা সরাসরি দোতলায় পৌঁছতে পারে সেজন্য দক্ষিণদাঁড়ির দিকে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হবে। এখন স্টেশনটিতে সরাসরি ঢোকার অসুবিধা রয়েছে। যা দূর করা হবে। ক্যানাল রোডের দিকে তৈরি হবে ফুট ওভারব্রিজ। শিয়ালদহের ডিআরএম এস পি সিং বলেন, খুব শিগগির টেন্ডার ডাকা হবে। উন্নয়নের কাজও শুরু হবে দ্রুত। হাওড়ার ডিআরএম মণীশ জৈন আশা প্রকাশ করে বলেন, “প্রথম আসা পরিকাঠামোর পরামর্শে নতুন কিছু সংযোজন করতে বলা হয়েছে। এই কাজ আগামী পুজোর আগে হয়ে যাবে বলে আশা করছি। তারপরই টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হবে।”