shono
Advertisement

Kolkata Civic Polls: ভোটশেষেই কমিশনের দপ্তরে বিজেপি বিধায়করা, পুলিশের সঙ্গে বচসা শুভেন্দুর

বিজেপির তোলা অশান্তির অভিযোগ ওড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
Posted: 07:16 AM Dec 19, 2021Updated: 09:27 AM Dec 20, 2021

কলকাতায় আজ পুরভোট। ১৪৪ ওয়ার্ডে মোট বুথ সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯টি। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৬৭০। এর মধ্যে উত্তেজনাপ্রবণ বুথ ১,১৩৯। পুরভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ। থাকছে সাড়ে ২৩ হাজার পুলিশ কর্মী। প্রতি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একজন সাব ইন্সপেক্টর বা অ্যাসিট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ২-৪ জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েন। থাকছেন লাঠিধারীরাও। পুরভোটের LIVE UPDATE:

Advertisement

রাত ৮.৩০: বিজেপির করা সমস্ত অশান্তির অভিযোগ ওড়াল কমিশন। বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৯৫ জনকে।

রাত ৮: রাজভবন থেকে বেরিয়ে সোজা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গেলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু দপ্তরে তালা দেওয়া। তাই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কমিশনের দপ্তরের সামনে দু’পক্ষের বচসা।

সন্ধে ৭.৩৪: রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনার পর বেরিয়ে শাসকদলকে তোপ শুভেন্দুর। বললেন, ”২০ শতাংশ ভোট হয়েছে, বাকি সব রিগিং। এই ভোট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি, আমরা আবার ভোট চাই।”

সন্ধে ৭: রাজভবনে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধি দল। ২০ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের। 

সন্ধে ৬.২৮: ভোটে প্রহসন হয়েছে, এই অভিযোগে সোমবার ও মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি বামফ্রন্টের। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনকে যেভাবে প্রহসনে পরিণত করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে তার প্রতিবাদ হবে। যেখানে সোমবার সম্ভব হবে না সেখানে মঙ্গলবার অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। সোমবার দুপুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হবে।

বিকেল ৫.৩৪: কলকাতার পুরভোটে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলল বিজেপি। এই দাবি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এটা ভোট হয়নি, দাবি নেতাদের। 

বিকেল ৫.২২: বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৬৫.৪০ শতাংশ। জানাল নির্বাচন কমিশন। 

বিকেল ৫.১০: সন্ধে ৬টায় বিজেপির প্রতিনিধি দলের রাজভবনে আসার কথা। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাড়ি থেকে বেরতেই তাঁকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।

বিকেল ৪.৫৫: ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রাজর্ষি লাহিড়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি তিনি।

বিকেল ৪.৪৫: ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীপদ তুলে নিলেন সিপিএম প্রার্থী মধুমিতা দাস। মিত্র ইনস্টিটিউশনে এসে রিগিংয়ের অভিযোগ জানান তিনি। এই ওয়ার্ডের মিত্র ইনস্টিটিউশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, দুপুর ১টার পর থেকে বামফ্রন্টের সব এজেন্ট তুলে দেওয়া হয়। প্রচুর ছাপ্পা ভোট হচ্ছিল। 

বিকেল ৪.৩০: ‘বাংলায় গণতন্ত্র নেই। পুলিশতন্ত্র চলছে। পুরভোট বেআইনি।’ বলে দিলেন পুরভোটে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।

বিকেল ৪.২০: অশান্তি বাধানোর ঘটনায় কোনওভাবে তৃণমূলের কেউ জড়িয়ে থাকলে দল সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল তৃণমূল।

বিকেল ৪.০০: ভ্রাতৃবধূ তথা ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোট ভালই হচ্ছে”, দাবি তৃণমূল নেত্রীর।

দুপুর ৩.৫৩: ভোটে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিধায়ক হস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। 

দুপুর ৩.৪০:  দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভোটদানের হার ৫২.৩২ শতাংশ।

দুপুর ৩.২০: দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বিজেপি বিধায়ককে বাধা। কলকাতায় ঢুকতে না পেরে ব্রিজে বসে বিক্ষোভ দেখালেন তিনি।

দুপুর ৩.০৬: পুরভোটের দিনও প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ। এদিন ভোট দেওয়ার পর ফের রাজ্য বিজেপিকে তোপ দাগলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বেশ কিছু জায়গায় টাকা নিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন দিলীপ ঘোষকেও নিশানা করেছেন বিজেপি সাংসদ। একইসঙ্গে জানালেন, তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী গৌরব বিশ্বাসের উপরই । ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীকে তিনি সমর্থন করেননি।

দুপুর ২.৪৭: খিদিরপুর পথে নামল বামেরা। শুরু অবস্থা বিক্ষোভ। 

দুপুর ২.৩৫: পুরভোটে কলকাতায় দুই এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে, মানল কলকাতা পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানালেন, জৈন স্কুলের হাতাহাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাকি স্কুলের বোমাবাজির ঘটনায় ধৃত ১। ভোটের অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের জালে ৭২ জন। যদিও পুলিশের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। 

দুপুর ২.২১: ৭১ নং ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। এলাকায় তিনটে থেকে মিছিল হবে। যদুবাবুর বাজারের কাছে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার কথা। উল্লেখ্য, এই ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থীর ছেলেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁর নির্বাচনী এজেন্টের উপর হামলা চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, প্রার্থীকে বুথে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

দুপুর ২.১০: মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সকাল থেকেই বিরোধীরা ভোটে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের কটাক্ষ করে অভিষেকের বার্তা, “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।” এর পরই তাঁর আশ্বাস, “কোনও অশান্তিতে তৃণমূল কর্মীদের যোগ পেলেন ভিডিও ফুটেজ সামনে আনুন, দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেবে দল।” 

দুপুর ১.৪০: ভোটে বেনিয়মের প্রতিবাদে রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার ভাবনা বিজেপির।

দুপুর ১.৩৮: দুপুর ১টা পর্যন্ত কলকাতায় ভোটের হার ৩৭.৮৯ শতাংশ। 

দুপুর ১.৩৬: সপরিবারে ভোট দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

দুপুর ১.১৭: ভোটে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে চারটি ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করল বামেরা। ১০০, ১০১, ১০২ এবং ১১০টি ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুপুর ১.১২: সরশুনা বাগপোতা মোরদেবী নগরে একটি স্কুলে ভোটারদের বাধা দিচ্ছে তৃণমূল অভিযোগ সিপিএম প্রার্থী রিনা ভক্তের এজেন্ট নীহার ভক্তের। নীহার সেই ভোটারকে নিয়ে বুথে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই মহিলা সকালে আগে ভোট দিয়ে গেছেন অঙ্গুলের কালি মুছে আবার আবার ভোট দিতে এসেছেন এবং ওই মহিলাকে তাঁরা সরিয়ে দেয় এই নিয়ে উত্তেজনা।

বেলা ১২.৫৫: হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ক্যালকাটা অ্যাংলো গুজরাটি স্কুল ও জৈন বিদ্যালয়ে ব্যাপক উত্তেজনা। কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক এবং তৃণমূল প্রার্থী শক্তিপ্রতাপ সিংয়ের পোলিং এজেন্টদের অভিযোগ, বহিরাগতরা এসে বুথ দখল করে নেয়। দফায় দফায় হাতাহাতি হয়। পুলিশ লাঠি নিয়ে দৌড়ে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ নামে। সন্তোষ পাঠকের পোলিং এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

বেলা ১২.৩৮: উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন ইসকনের সন্ন্যাসীরা।

 

বেলা ১২.৩২: বোমাবাজিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। 

বেলা ১২.২৮: ভোট দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবার নেপাল মাহাতোর নেতৃত্ব কমিশনে যাচ্ছে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। 

বেলা ১২.১৩: ভোটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। দুপুর ১টার পর রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিল বিজেপির। 

বেলা ১২.০৫: ১৭ নং ওয়ার্ডের বড়তলা থানার সামনে বামেদের অবস্থান। অভিযোগ, ভোটের নামে প্রহসন চলছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তিনটি ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে তারা। 

বেলা ১২.০০: ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে দফায়-দফায় অশান্তি।পোলিং বুথ শ্রী জৈন স্কুলের অন্দরে তৃণমূল-কংগ্রেসের হাতাহাতি বেঁধেছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে এক ব্যক্তি। তাকে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক ধরে ফেলে বলে অভিযোগ।  তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। 

সকাল ১১.৫৭: সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ১৮.৫১ শতাংশ। 

সকাল ১১.৪৭: ভোটে দুর্নীতি ও অশান্তির অভিযোগ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি। 

সকাল ১১.৪০: ভোট দিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোটের অশান্তি নিয়ে আপতত মন্তব্য করতে চাননি তিনি। 

 

সকাল ১১.৩৩: বাঘাযতীন মোড়ে বামেদের অবরোধ তুলতে পৌঁছে গেল বিশাল পুলিশবাহিনী।  

সকাল ১১.২১: কীভাবে ঘটল বোমবাজির ঘটনা, রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। 

সকাল ১১.০৫: রক্তাক্ত পুরভোট। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে শিয়ালদহের টাকি স্কুলের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ২। ভোটারদের ভয় দেখাতে বোমাবাজি দাবি তৃণমূলের।

টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে বোমাবাজি। ছবি: শুভাশিস রায়।

সকাল ১১.০০: ১০১, ১০২, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দুর্নীতির প্রতিবাদে সিপিআইএম প্রার্থীরা বাঘাযতীন মোড়ে রাস্তা অবরোধে করছেন।

সকাল ১০.৫৩: ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীকে ছায়ার মতো অনুসরণ করছেন নির্দল প্রার্থী। নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস। 

সকাল ১০.৩০: জোড়াবাগানে বুথের ভিতরেই বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে ঘিরে বিক্ষোভ।

সকাল ১০.১৫: ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের বুথে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ। তৃণমূল-বিজেপি অশান্তি ঘিরে এলাকারয় উত্তেজনা।

সকাল ১০.১১: ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান্না হাই স্কুলের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। 

বেলেঘাটার স্কুলের সামনে পুলিশের জমায়েত। ছবি: শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সকাল ৯.৫২: মানিকতলায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, ভোটারদের বিরিয়ানি খাইয়ে ভোট কিনতে চাইছে বিজেপি। বেসরকারি হাসপাতালের ছাদে বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে। যদিও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালের কর্মীদের জন্যই বিরিয়ানি রান্না হচ্ছিল।  

সকাল ৯.৩৬: ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাগান এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে তৃণমূলের ব্যানার, ফ্লেক্স। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখাতেই বোমাবাজি করা হচ্ছে। বোমাবাজির প্রমাণ নেই, দাবি পুলিশের। 

সকাল ৯.২৬: সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার ৯.০৭ শতাংশ।

সকাল ৮.৫৪: ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছিড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এদিন সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ মীনাদেবী পুরোহিত ও দুই নির্দল প্রার্থী বুথে ঢুকেছিলেন। সেই সময় তাঁরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। পুলিশ কোনও কাজ করছে না বলেও অভিযোগ তাঁদের। 

সকাল ৮.২৮: নতুন করে অশান্তি ছড়াল বাগবাজারের শ্রীরামকৃষ্ণ হোমে। এই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট হয়েছেন খোদ প্রার্থী রূপা চৌধুরীই। তাঁকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে বুথে বসানোর চেষ্টা করেন বিজেপি প্রার্থী। এনিয়ে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন শ্যামপুকুর থানার ওসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

সকাল ৮.২৫: ফের উত্তেজনা ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে এসেছিল কয়েকজন। তাদের দেখেই তেড়ে যান কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। 

সকাল ৮.১৪: ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ করল পুলিশ। অভিযোগ, তাঁর অফিসে অবৈধ জমায়েত হচ্ছিল। এমনকী, নির্বাচনীবিধি ভেঙে দলীয় প্রতীক দেখা যাচ্ছিল বিজেপির কার্যালয়ে। 

সকাল ৮.০৪: সিসিটিভি নিয়ে অভিযোগ মানতে নারাজ জেলাশাসক। প্রিসাইডিং অফিসাররা সিসিটিভি পরীক্ষা করেছেন বলে দাবি তার। 

সকাল ৮.০২: ২ নম্বর ওয়ার্ড সিঁথির রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, সংগঠন নেই বিজেপির। তাই মিথ্যা অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির।

ছবি: শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়

সকাল ৭.৫১: ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাগবাজারের শ্রীরামকৃষ্ণ হোমে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। 

সকাল ৭.৪১: কলকাতা পুরভোটে অশান্তি এড়াতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পুলিশ। ফোন করে সরাসরি কন্ট্রোল রুমে জানানো যাবে অভিযোগ।

সকাল ৭.৩৩: ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একনম্বর বুথে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে অবস্থানে বসেন নির্দল প্রার্থী। পরে বিজেপি প্রার্থী গিয়ে তাঁকে বুথে ঢোকান। 

সকাল ৭.৩০: একাধিক বুথে সিসিটিভি অকেজো করার অভিযোগ উঠছে। কোথাও কোথাও সাদা কাগজ দিয়ে সিসিটিভি ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। অভিযোগ, টাকি বয়েজ স্কুল, গড়াগাছা, বেলেঘাটা এবং বেনিয়াটোলা এলাকার একাধিক বুথে এধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠছে। আবার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী অনিন্দিতা পাল অভিযোগ করেছেন, ওয়ার্ডের একাধিক বুথে বসানোই হয়নি সিসিটিভি। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি পুলিশের। উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এবার পুরভোটে সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

সকাল ৭.২৫: গড়িয়ার ব্রিজি এলাকার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭-২৫ নম্বর বুথে বাম এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বামেদের দাবি, বুথ থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। যদিও ঘাসফুল শিবির বলছে, বিরোধীদের সংগঠন নেই। তাই তারা এজেন্ট দিতে পারছেন না। উলটে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে। 

সকাল ৭.১৫: রাজাবাজার সংলগ্ন টাকি বয়েজ স্কুলের বুথে উত্তেজনার অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষের দাবি, তাঁর পোলিং এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। আঘাত লেগেছে মাথা ও হাতে। এর পিছনে রাজ্যের শাসকদলের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই কংগ্রেস প্রার্থী। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জিততে পারবে না জেনেই বিরোধীরা এ ধরনের অভিযোগ আনছে। এদিকে বুথের সামনে জমায়েত হয়েছিল। পুলিশ দ্রুত সেই জমায়েত সরিয়ে দেয়। 

সকাল ৭.০০: উৎসবের মেজাজে শুরু ভোটগ্রহণ। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে গোটা শহর। নজরদারি চালাতে ড্রোন ব্যবহার করছে কলকাতা পুলিশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement