গোবিন্দ রায়: এসকর্ট সার্ভিস দেওয়ার জন্য বন্ধুত্বের ক্লাব। আর সেই ক্লাবের নামে ব্ল্যাকমেল করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ। খবর পেয়ে এই প্রতারণা চক্রের পাণ্ডা এক যুবককে গ্রেপ্তার করল লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম পাঠান আমির খান। শনিবার তাকে বাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রতারণা চক্রের বাকি সদস্যদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
সম্প্রতি লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ আসে, কলকাতাজুড়ে চলছে এসকর্ট সার্ভিসের (Escort Service) নামে প্রতারণা চক্র। ওই চক্রটি মূলত অনলাইনেই বিজ্ঞাপন দিত। সাধারণত ‘ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবে’র নামেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। বলা হত, তাদের ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত সুন্দরী মহিলারা। ওই মহিলারা এসকর্ট সার্ভিস দেন। তাঁদের নিয়ে কেউ শহরের কোথাও বা কলকাতার বাইরে নিয়ে গিয়েও সময় কাটাতে পারেন। পুরো ব্যবস্থাই করে দেবে এই ক্লাবটি। সেই টোপে পাও দিচ্ছেন অনেকে। সেই রকম ভাবে পা দিয়েছিলেন অভিযোগকারী।
[আরও পড়ুন: আদালতের কাজের জন্য তৈরি নতুন ভবন, আগামী সপ্তাহেই নব মহাকরণে বসবে এজলাস]
জানা গিয়েছে, অনলাইনের বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করতেই অভিযুক্তরা কলার সেজে জিজ্ঞাসা করত, ওই ব্যক্তি সুন্দরী এসকর্টকে নিয়ে কোথায় যেতে চান? এর পর তাঁকে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের (friendship Club) মেম্বারশিপের জন্য অল্প কিছু টাকা দিতে বলা হত। অনলাইন অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দিলে বলা হত, এসকর্টের সঙ্গ পেতে গেলে রেজিস্ট্রেশন চার্জ লাগবে। সেই টাকা দিতেই বলা হত, তাঁর শারীরিক সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন মেডিক্যাল পরীক্ষার। সেইমতোও টাকা নেওয়া হয়। পরে ঘর ভাড়ার জন্যও আগাম টাকা চাওয়া হয়। এই রকম ভাবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘দলের সঙ্গে আছি, দলের সঙ্গেই থাকব’, তৃণমূলকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পার্থর]
সম্প্রতি লালবাজারের গোয়েন্দাদের কাছে এই প্রতারণা সম্পর্কে তথ্য আসে। তাঁরা অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘খদ্দের’ সেজে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেইমতো অভিযুক্তদের মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায়, তারা সার্ভে পার্ক এলাকার একটি বহুতলের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিত ওই বহুতলে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।