সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচ্ছা হাত বাড়ালেই যদি আকাশ ছোঁয়া যেত? খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে যদি সাক্ষী থাকা যেত তারা খসার? কলকাতার মতো কংক্রিটের জঙ্গলে দাঁড়িয়ে এমনটা ভাবাও যেন পাপ! কিন্তু সেই কংক্রিটই শহরবাসীকে আকাশ ছোঁয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আর সেই সুবাদে তিলোত্তমার বহুতল তকমা পেয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিল্ডিংয়ের।
দ্য ৪২। শহরের প্রায় সব প্রান্ত থেকেই যে বিল্ডিং দেখতে পান শহরবাসী। ৪২ চৌরঙ্গিতে (জে এন রোড) অবস্থিত ৬৫ তলার এই সুবিশাল বিল্ডিং হার মানিয়েছে দক্ষিণ মুম্বইয়ের দ্য ইম্পিরিয়ালকেও। গত পঞ্চাশ বছর ধরে ময়দান চত্বরে রাজত্ব করত টাটা সেন্টার, চ্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনাল, এভারেস্ট হাউসের মতো সুউচ্চ বিল্ডিংগুলি। কিন্তু দ্য ৪২ মাথাচাড়া দিতেই বাকিরা ভ্যানিশ। ২৬৮ মিটার লম্বা বিল্ডিং শুধু কলকাতার নয়, গোটা দেশের সর্বোচ্চ ইমারত। দীর্ঘদিন ধরে বিল্ডিংটি নির্মাণের কাজ চলছিল। মাস কয়েক আগে শ্রমিকরা কাজ করার সময় একবার আগুনও লেগে গিয়েছিল। যদিও তা বড়মাপের কিছু ছিল না। নানা বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে শেষ হয়েছে নির্মাণ কাজ। ৬৫ তলা বিল্ডিংটির আরও চারটি ফ্লোর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতি না মেলায় ৬৫ তলাতেই শেষ হয় এর উচ্চতা।
[আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা অ্যাপ ক্যাবের, মৃত চালক]
দ্য ৪২-এর পরই শহরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিল্ডিং আরবানা। ১৬৭.৬ মিটার উঁচু এই বহুতল দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত। এছাড়াও সুউচ্চ বিল্ডিংগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ইএম বাইপাস সংলগ্ন অ্যাটমোসফিয়ার। এর উচ্চতা ১৫২ মিটার।
তবে কথা হল, যেভাবে দেশের মহানগরীগুলিতে একের পর এক বিল্ডিং গজিয়ে উঠছে তাতে কতদিন দ্য ৪২ সর্বোচ্চের মুকুট পরে থাকতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ মুম্বইতে তৈরি হচ্ছে একটি ৯০ তলা বিল্ডিং। আকাশছোঁয়া সে বিল্ডিং বাকি সকলকে ছাপিয়ে ‘আশ্চর্য ইমারত’ হয়ে রইবে, তা বলাই বাহুল্য। মেঘের কোলে থাকতে ভাল লাগে ঠিকই, কিন্তু এসমস্ত বিল্ডিংয়ের জন্য একইসঙ্গে চূড়ান্ত ক্ষতিও হচ্ছে পরিবেশের। কাটা পড়ছে বহু গাছ। তাছাড়া এসব বিল্ডিংয়ের ভূমিকম্প প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা, তা নিয়েও সংশয় থেকেই যায়।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সচেতন কমিশন, নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৯৪ কোম্পানি বাহিনী]
The post মুম্বইকে হারিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিল্ডিংয়ের তকমা পেল The 42 appeared first on Sangbad Pratidin.