স্টাফ রিপোর্টার: টানা সাত মাসের লড়াই শেষ। টিবিতে (Tuberculosis) ভুগে মৃত্যু হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Kolkata) মেধাবি মেডিক্যাল পড়ুয়া কৌশিক রেজার। গত এপ্রিল মাসে টিবিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন আরামবাগের ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মারা যান তিনি।
জন্ম থেকেই দুর্বল কৌশিক। ইমিউনিটির ঘাটতি ছিল তাঁর। চিকিৎসকরা বলছেন ইমিউনিটির এই ঘাটতিই শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিল হবু ডাক্তারকে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কৌশিকের সহপাঠী ডাক্তারি পড়ুয়া বিনায়ক সরকার জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে যক্ষ্মা ধরা পড়ে বছর পঁচিশের ওই পড়ুয়ার শরীরে। কীভাবে? টিবি অসুখের নেপথ্যে ব্যাকটিরিয়া মাইকোব্যাকটিরিয়াম টিউবারকুলোসিস (Mycobacterium Tuberculosis)।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ নিয়ে জোর জল্পনার মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের]
হাসপাতালে অগুনতি রোগীর ভিড়। হাঁচি-কাশির মধ্যে দিয়ে বাতাসে ছোট ছোট কণার আকারে টিবির ব্যাকটিরিয়া ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। সহপাঠী ডাক্তারি পড়ুয়াদের সন্দেহ, এভাবেই ব্যাকটিরিয়া ঢুকে পড়েছিল কৌশিকের শরীরে। প্রথমটায় চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু গত চল্লিশ দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন কৌশিক। চিকিৎসকরা বলছেন, টিবি (TB) নিয়ে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু মাস্ক পরা যে কতটা প্রয়োজনীয় জীবন দিয়ে তার প্রমাণ দিয়ে গেলেন কৌশিক রেজা।
[আরও পড়ুন: DA ইস্যুতে সরকারি কর্মচারীদের পাশেই আছে সরকার, দাবি দুই মন্ত্রীর]
রাজ্যে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয় টিবি রোগে। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে এই সংক্রমণ হলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে যে কোনও অঙ্গেই হতে পারে যক্ষ্মা বা টিবি। রোগীর কাছাকাছি থাকলে অনেকটাই বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। হাসপাতাল, নার্সিংহোমে তাই মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে বলছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। চিকিৎসকদের কথায়, টিবির ব্যাকটিরিয়া নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে ঢুকে গেলেই মারাত্মক। ফলে যক্ষ্মা রোগীর বাড়ির লোক এবং চিকিৎসক ও নার্সদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে অনেকটাই।