নব্যেন্দু হাজরা: পাতালপথের তৃতীয় লাইন বদলে এবার মেট্রোর গতি বাড়াতে চাইছে কলকাতা মেট্রোরেল (Kolkata Metro Railways) কর্তৃপক্ষ। আর তা বাড়লেই কমবে দুই মেট্রো চলাচলের সময়ের ব্যবধান। প্রয়োজনে আড়াই মিনিটের ব্যবধানে চলতে পারবে উত্তর-দক্ষিণ রুটের মেট্রো। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, দমদম (Dumdum) থেকে মহানায়ক উত্তর কুমার (Mahanayak Uttam Kumar) স্টেশন পর্যন্ত অংশে মেট্রোর তৃতীয় লাইন বদল করা হবে। মেট্রো চালুর সময় থেকে এই তৃতীয় লাইনটি ছিল স্টিলের। এবার তা বদলে অ্যালুমিনিয়ামের করা হবে। তবে লাইনের উপরের অংশটা থাকবে স্টেনলেস স্টিলের। ওই অংশটা থার্ড রেল কারেন্ট কালেক্টরের (TRCC) সংস্পর্শে আসে।
ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য দরপত্র (Tender) আহ্বান করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বছর দুয়েকের মধ্যে নয়া তৃতীয় লাইন বসানোর কাজ হয়ে যাবে। বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কমবে। বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় এক কোটি টাকা। কমবে পাতালপথে ভোল্টেজ ড্রপ হওয়ার ব্যধি। ইচ্ছামতো মেট্রোর গতি বাড়ানো যাবে। ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-ধর্মতলা-সহ নতুন সবক’টি মেট্রোতেই নয়া প্রযুক্তির এই থার্ড লাইন (Third Line) পাতা হয়েছে। মেট্রোরেলের তরফে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুর, লন্ডন, বার্লিন, মস্কো-সহ একাধিক দেশে মেট্রোয় অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড লাইন রয়েছে।
[আরও পডুন: ৫ হাজার কোটি বকেয়া! বাণিজ্যিক গাড়ির কর চুরি রুখতে বিপুল ছাড়ের ভাবনা নবান্নের]
বছর তিনেকের মধ্যে ১৫০ সেকেন্ড অথবা প্রয়োজনে আড়াই মিনিটের ব্যবধানেও মেট্রো চালানো যাবে। ফলে যাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে। বর্তমানে অফিস টাইমে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে চলে মেট্রো। সেই সময়ই কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করা হতে পারে। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু নোয়াপাড়া (Noapara) থেকে দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) নতুন লাইন পাতা হয়েছে এবং উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ লাইনও তুলনামূলক নতুন। সে কারণেই এই দুই অংশে এখনই তৃতীয় লাইন বদল করা হবে না।