অর্ণব আইচ: কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ভোটের আগেই আরও আটটি ড্রোন কিনছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। কেনা হচ্ছে ৭৫টি পোর্টেবল ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই সারা দেশ থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন VIP ও VVIP। ভোটের প্রচার শুরু হতেই কলকাতায় হবে পর পর জনসভা। দেশ ও রাজ্যের ভিআইপি ও ভিভিআইপিরা যোগ দেবেন জনসভাগুলোতে। মূলত নজরদারি ও নিরাপত্তার জন্যই এই অত্যাধুনিক ড্রোন ও নতুন ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।
লালবাজার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি ডিভিশনে রয়েছে ড্রোন। এছাড়াও ড্রোন রয়েছে লালবাজারেও। গোয়েন্দা নজরদারিতেও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কলকাতায় জনসভার সংখ্যা বেশি হলে নিরাপত্তার কারণে প্রয়োজন হবে আরও ড্রোনের। এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, আকাশপথে নজরদারি হলে বিশেষ সুবিধা হয়। উপর থেকে তোলা ছবিতে বোঝা যায় জনসভায় যোগ দিতে আসা জনতার মধ্যে কে কী করছে? তাদের কারও যদি কোনও নাশকতার পরিকল্পনা থাকে, তা ড্রোনেই ধরা পড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: বাংলার ‘গদ্দারদের’ গুলি মারার স্লোগান দেওয়ার জের, সরানো হল তৃণমূলের যুব সভাপতিকে]
যেহেতু একই দিনে একাধিক জনসভা হতে পারে শহরে, তাই আপাতত অতিরিক্ত আটটি আধুনিক ড্রোন কেনা হচ্ছে। এই ড্রোনগুলি এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধযুক্ত এলাকা ঘুরে কাজ করবে। সাধারণভাবে মাটি থেকে ৩০০ থেকে ৬০০ মিটার উপরে উড়বে সেটি। ড্রোনের তোলা ভিডিও সরাসরি পৌঁছে যাবে কন্ট্রোলরুমেও। হালকা বৃষ্টির মধ্যেও তা যেন উড়তে পারে। সন্ধের পর কোনও সভা হলেও নজরদারির জন্য যাতে ড্রোনের ক্যামেরায় থার্মাল ইমেজার থাকে, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। দিনের রঙিন ছবি স্পষ্ট ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রাতের ছবির ‘রেজলিউশন’ যাতে অত্যন্ত স্পষ্ট হয়, সেদিকেও রয়েছে লালবাজারের নজর রয়েছে। পাশাপাশি সেটি নিয়ন্ত্রণ করাও যাতে সহজ হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: হাওড়া পুরনিগম থেকে ‘বিয়োগ’ বালি পুরসভার, নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর]
ড্রোন ছাড়াও লালবাজার ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টরও কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটের প্রচারের জন্য জনসভাগুলিতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের কাছে যেন কোনও আগ্নেয়াস্ত্র অথবা ক্ষতিকর কোনও বস্তু না থাকে, তার জন্য অত্যাধুনিক ৭৫টি পোর্টেবল ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে এই মেটাল ডিটেক্টর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। বিভিন্ন ধরনের ধাতু এই যন্ত্রটি যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আয়রন অক্সাইড যৌগের সিরামিক বস্তু ‘ফেরাইট’ও চিনতে পারবে এই যন্ত্র। যে ব্যক্তি এই ‘দরজার’ ভিতর দিয়ে যাবেন, তাঁর দু’পাশ, উপর ও নিচ থেকে পরীক্ষা করবে এই যন্ত্র। যে পুলিশকর্মী যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করবেন, তিনি মনিটরে চোখ রেখেই বুঝতে পারবেন সন্দেহজনক কিছু রয়েছে কি না। পরের মাসের মধ্যেই যাতে যন্ত্রগুলি নিয়ে আসা হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।