সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো (UNESCO)। সেই সম্মান প্রাপ্তির ফলকে প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামই নেই। তা নিয়ে বিতর্কে প্রতিদিনই নতুন করে যোগ হচ্ছে নানা মুনির নানা মত। এসবের মাঝে রবিবার নামফলক বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করে চার পাতার বিবৃতি জারি করেছেন বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাতে তিনি দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছেন। নাম না করে অনুব্রত মণ্ডল-সহ ধৃত একাধিক নেতার কথাও উল্লেখ করেছেন। এসবের পালটায় তাঁকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ‘চতুর্থ শ্রেণির বিজেপি ক্যাডারের মতো ভাষা প্রয়োগ করেছেন উপাচার্য’, এমনই বললেন তৃণমূল মুখপাত্র।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন, ”বিশ্বভারতীর উপাচার্য যে চিঠিটি লিখেছেন, সেটি চতুর্থ শ্রেণির বিজেপি ক্যাডারের লেখা বলে মনে হচ্ছে। ওটা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভাষা হতেই পারে না। যিনি বিশ্বভারতীর নামফলক থেকে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে নিজের নাম দেন, সেখানে নরেন্দ্র মোদি ও নিজের নাম লেখেন, তাঁর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। ডাক্তার দেখানো দরকার। তিনি বিশ্বভারতীর লজ্জা। নরেন্দ্র মোদির সাঙ্গোপাঙ্গোরা যখন লুট করে বিদেশে পালিয়ে যান, তখন দেখতে পারেন না বিদ্যুৎ চক্রবর্তী? যখন উন্নাও, হাথরাসে নারী নির্যাতনের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, তখন দেখতে পারেন না?এই অপসংস্কৃতি ছড়ানোর কাজে পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে রেয়াত করা হবে না।”
[আরও পড়ুন: এবার ইডির দপ্তরে জ্যোতিপ্রিয়কন্যা প্রিয়দর্শিনী]
দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বভারতীর নামফলক থেকে কবিগুরুর নাম উধাও হওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি জেলা তৃণমূলকে নির্দেশ দেন, এই নাম ফেরানোর দাবিতে জোরদার আন্দোলনে নামতে। সেইমতো এলাকার স্থানীয় বিধায়, নেতারা সকলেই গত ৩ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। এই অবস্থায় রবিবারই বিশ্বভারতীর তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন উপাচার্য। চিঠিতে কটাক্ষের সুরে তাঁর বক্তব্য, ”আপনার অনেক নেতাই নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। হেভিওয়েট কেউ কেউ ধরা পড়ে জেলে রয়েছেন। আপনি কান দিয়ে শুনলে তাঁদের পাশে থাকার কথাই মনে হবে, আমার বিরোধিতা করবেন। কিন্তু চোখ খুলে দেখলে সব বুঝতে পারবেন।” এছাড়াও নানা বিষয় নিয়ে আক্রমণাত্মক বার্তা দিয়েছেন তিনি। তারই পালটা দিয়ে কুণাল ঘোষও চাঁচাছোলা ভাষায় বক্তব্য রাখলেন।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর নামফলক বিতর্ক: ‘অতিরিক্ত তৈল মর্দন’, উপাচার্যকে বিঁধলেন অনুপম হাজরা]
এদিকে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমর্থনে এদিন পোস্টার দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির তরফে দেওয়া পোস্টারে লেখা – ”উপাচার্য হিসেবে আমরা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই আবার চাই।”