স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ব ক্যানসার দিবসে অ্যাপোলো হাসপাতাল, আইসিএমআর, ইন্ডিয়ান ক্যানসার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে শুরু হল বিশেষ ক্যাম্পেন। তাঁদের মূল লক্ষ্য ক্যানসারের মতো অসুখকে নোটিফায়েবল ডিজিজে পরিণত করা।

কিন্তু কীভাবে? অন্যান্য ছোঁয়াচে বা সংক্রমিত অসুখগুলি যেমন টিবি, চিকেনপক্স, পোলিও ইত্যাদি নোটিফায়েবল ডিজিজ। এই অসুখে প্রতিনিয়ত কতজন করে আক্রান্ত হচ্ছেন, কখন অসুখ বাড়ছে-সহ একাধিক জরুরি তথ্যের একটা পরিসংখ্যান সরকারের তরফ থেকে রক্ষা করা হয়। তার ভিত্তিতেই চিকিৎসার প্রোটোকল সাজানো হয়। ক্যানসার যেহেতু সংক্রমিত অসুখ নয়, তাই নোটিফায়েবল ডিজিজ হিসাবে ক্যানসারকে গণ্য করা হয় না।
তবে একাংশের চিকিৎসকরা মনে করছেন, টিবি, চিকেনপক্সের মতো ক্যানসার রোগীদেরও সমস্ত তথ্য যদি রেকর্ড হিসাবে রেখে দেওয়া যায়, অর্থাৎ প্রতিনিয়ত কত ক্যানসার রোগী আসছেন, কী ধরনের ক্যানসার নিয়ে আসছেন, কোন জায়গায় কী ধরনের ক্যানসার বাড়ছে, ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় হচ্ছে কি না, রোগ নির্ণয় হওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হতে কতটা দেরি হচ্ছে-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
অ্যাপোলো ক্যানসার সেন্টারে ইতিমধ্যেই ক্যানসার রোগীর তথ্য সংরক্ষণ শুরু হয়েছে, যা রোগের প্রবণতা ও চিকিৎসার ফলাফল বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারেরও সহায়তা প্রয়োজন বলেই মত হাসপাতালের মেডিক্যাল অঙ্কোলজির অধিকর্তা ডা. পি এন মহাপাত্রের। ক্যানসার চিকিৎসার প্রোটোকলকে আরও সুনির্দিষ্ট বা টার্গেটেড পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে এই তথ্য অনেক সহায়ক হতে পারে। এই ভাবেই বর্তমানে ক্যানসার যেভাবে মহামারীর আকার নিচ্ছে, সেটা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেই মত, হাসপাতালের রেডিওঅঙ্কোলজস্টি ডা. অরুন্ধতী দে-র। ক্যানসার-ডে-র দিন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. অরুণাভ সেনগুপ্ত, ডা. সুরিন্দার সিং ভাটিয়া, ডা. জীবক ভট্টাচার্য, ডা. আর কে জালান, ডা. জি সি গুলগুলিয়া ও অন্যরা।