রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মূল্যবৃদ্ধি-সহ কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ২৫ থেকে ৩১ মে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পাঁচটি বামপন্থী দল। তারই অঙ্গ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গেও জেলা ও কলকাতায় কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বুধবার বামপন্থী দলগুলির বৈঠকে।
এদিন আলিমুদ্দিনে এই বৈঠকে সিপিএম-সহ (CPIM) বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি ছাড়াও সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, এনসিপি, ডিএসপি, পিডিএসের মতো বামপন্থী দলগুলিও ছিল। বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়েই কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে চাইছে বামদলগুলি। বামফ্রন্ট ও বামফ্রন্টের (Left Front) বাইরে মিলিয়ে মোট ১৬টি বামপন্থী দল সমূহের আহ্বানে এই কর্মসূচি নেওয়া হবে। ২৫ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত জেলায় জেলায় পথসভা, মিছিল, মশাল মিছিলের মতো কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রথমে জেলাস্তরে ছোট ছোট পথসভা হবে। তারপর ব্লকস্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। মশাল হাতেও মিছিল করবেন বামকর্মীরা। জেলাস্তরে বড়বড় সমাবেশ করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আর ৩১ মে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান-বিক্ষোভ হবে। অথবা ওইদিন রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশও হতে পারে।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ স্থানীয় নির্বাচনে এবার সংরক্ষণ পাবেন ওবিসিরাও, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
এদিন বামদলগুলির বৈঠকে বিমান বসু (Biman Basu), সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম (Md Selim), স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চট্টোপাধ্যায়, মনোজ ভট্টাচার্য, বাসুদেব বসু প্রমুখ নেতৃত্ব ছিলেন। দিন দুই আগেই সিপিআইএম(এল) লিবারেশন বৃহত্তর বাম ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। মূলত বিমান বসুর উদ্যোগেই অন্যান্য সমমনস্ক বামপন্থী দলকে একত্রিত করার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুতুব মিনার তৈরি করেন রাজা বিক্রমাদিত্য, চাঞ্চল্যকর দাবি পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন আধিকারিকের]
বস্তুত, বামেরা দেশজুড়েই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করতে চাইছে। আর এই আন্দোলনকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের সংগঠনের হালহকিকত খতিয়ে দেখে নিতে চাইছে বামপন্থী দলগুলি। তাছাড়া বৃহত্তর বাম আন্দোলন সংঠিত করার মাধ্যমে বামফ্রন্টকেও আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন বিমান বসুরা। এখন দেখার সেই লক্ষ্যে বিমান বসুরা কতটা সফল হন।