ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে নিজে ৪৮ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচিতে শামিল স্বয়ং তৃণমূল (TMC) নেত্রী। শুক্রবার থেকে রেড রোডে (Red Road)আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করেছেন তিনি। চলবে শনিবার রাত পর্যন্ত। কিন্তু তার পরও চলবে বকেয়া বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আর শুক্রবার এই মঞ্চ থেকেই আগামী ১০ দিনের কর্মসূচি ঠিক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, রাতে তিনি ধরনামঞ্চেই থাকবেন। কেউ চাইলে চলে যেতেই পারেন। তবে শনিবার ফের ১০টার মধ্যে রেড রোডে হাজির হতে হবে। শনিবার দলের সাংসদদেরও এই ধরনামঞ্চে যোগ দেওয়ার কথা।
শুক্রবার ধরনামঞ্চ থেকেই টানা দলের কর্মসূচি বানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, তিনি ৩ তারিখ পর্যন্ত ধরনায় থাকছেন। তার পর তাঁকে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে। এর মাঝে ৫ তারিখ দিল্লি যাবেন তিনি, ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে বিশেষ কমিটির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যাতে ছেদ না পড়ে, তার জন্য তালিকা করে দিলেন। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই ‘প্রশ্নফাঁস’! পরীক্ষা শুরুর পরই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি]
আগামী ৪ তারিখ প্রতিবাদ কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবে যুব তৃণমূল (TMYC)। ৫ তারিখ টিএমসিপির (TMCP) নেতৃত্বে হবে কর্মসূচি। পর দিন, ৬ তারিখ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে এর নেতৃত্বে। ৭ তারিখ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন অর্থাৎ মানস ভুঁইঞা, দোলা সেনের নেতৃত্বে হবে প্রতিবাদ। ৮ তারিখ দলের সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি অর্থাৎ বীরবাহা হাঁসদা, সুকুমার মাহাতোরা কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন। ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব।
[আরও পড়ুন: ঘোষিত রাজ্য বাজেটের দিনক্ষণ, অধিবেশনের আগেই প্রত্যাহার শুভেন্দুর সাসপেনশন]
৯ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১০ তারিখ উত্তর ২৪ পরগনা, ১১ তারিখ হাওড়া, ১২ তারিখ হুগলি, ১৩ তারিখ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা নেতৃত্ব প্রতিবাদ কর্মসূচি করবেন। ১৪ তারিখ মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বকে কর্মসূচির দায়িত্ব দিলেও পরে সরস্বতী পুজোর কারণে তা বাতিল করে দেন নেত্রী নিজেই। তবে জানান, এর পর বুথে বুথে বঞ্চনার প্রতিবাদে দলের কর্মসূচি চলবে।