অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: সাতসকালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর (Central Avenue) সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ড। সকাল ১০টা নাগাদ গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউর ওই সরকারি কার্যালয়ের পাঁচতলায় আগুন (Fire) লাগে। গলগল করে ধোঁয়া বেরতে দেখেন পথচারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে আগুনের উৎসস্থলে এখনও পৌঁছনো সম্ভব হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। অফিস টাইম হলেও কর্মীরা হাজির না হওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে সরকারি অফিসের যাবতীয় যন্ত্রপাতি, নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান তাঁদের।
জানা গিয়েছে, ৪৫, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় রয়েছে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের (PHE) একটি কার্যালয়। সকাল ১০ টা নাগাদ সেখানেই আগুন লাগে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৭টি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুনের উৎসে পৌঁছতে হিমশিম দশা দমকলকর্মীদের। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছে বহুতলের অন্যান্য ফ্লোরেও। জানা গিয়েছে, এই ৪৫, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউতে আরও কয়েকটি সরকারি অফিস আছে। সেখানে কতটা কী ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও অজানা।
[আরও পড়ুন: ‘কেরালা স্টোরি দেখে…’ লাগাতার ধর্ষণ-ধর্মান্তকরণের চাপ প্রেমিকাকে, FIR দায়ের মডেলের]
দিনের ব্যস্ত সময়ে সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বড়সড় বিপদের আশঙ্কা ছিল। তবে অফিসে কোনও কর্মী তখনও এসে পৌঁছননি বলে তা এড়ানো গিয়েছে। যদিও কর্মীদের অনুমান, কম্পিউটার-সহ একাধিক জরুরি মেশিন এবং নথিপত্র পুড়েছে আগুনে। তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও বোঝা যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।