সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম কাটতে না কাটতেই শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ড। ট্যাংরায় ভস্মীভূত প্লাস্টিকের গুদাম। শোভাবাজারের (Sovabazar) হরি বোস লেনে আগুনে পুড়ে ছাই একটি টালির বাড়ি। শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড বলে অনুমান করা হচ্ছে। কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনও খবর নেই।
রবিবার ভোররাতে ট্যাংরার (Tangra) কিলখান রোডে প্লাস্টিকের গুদামে ধোঁয়া দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয়রা। তাতেই ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। বাড়ি থেকে বেরতে বেরতেই পোড়ার গন্ধ পান স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন প্রায় সকলে। তাঁরা দেখেন প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লেগে গিয়েছে। দাউদাউ করে জ্বলছে গুদামটি। দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় ওই প্লাস্টিক গুদামের পাশের আরও ২টি গুদামও আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। খবর পেয়ে দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দমকলের ৬ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: তাস খেলা ঘিরে বচসা থেকে মর্মান্তিক ঘটনা, দুর্গাপুরে পিটিয়ে খুন যুবক, এলাকায় চাঞ্চল্য]
ট্যাংরার কিলখানের রোডের পাশাপাশি শোভাবাজারের হরি বোস লেনের একটি বাড়িতেও আগুন লেগে যায়। ওই বাড়িটিতে বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়া বসবাস করেন। বাড়িমালিক প্রথমে বুঝতে পারেন বাড়িটিতে আগুন লেগে গিয়েছে। তিনি ভাড়াটিয়াদের বিষয়টি জানান। প্রাণে বাঁচতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন সকলেই। স্থানীয়দের দাবি, ওই বাড়িটিতে ৬টি গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে স্থানীয়রা ওই সিলিন্ডারগুলি সরিয়ে নিয়েছেন। তার ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কেন এত বেশি পরিমাণে সিলিন্ডার বাড়িটিতে মজুত ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের জেরে ট্যাংরার প্লাস্টিকের গুদাম এবং শোভাবাজারের বাড়িতে আগুন লেগেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।