নিরুফা খাতুন: কোটি কোটি টাকা, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নেল পার্লার, প্রোডাকশন হাউস – কী না ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মালিকানাধীন? তাঁর সেই বিপুল সম্পত্তি উদ্ধারের পর হিসেবনিকেশ রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন খোদ ইডি (ED) আধিকারিকরা। এই অবস্থায় অর্পিতার কসবার বাড়ির দিকে নজর পড়েছে কলকাতা পুরসভার। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ‘ইচ্ছে’ বাড়ি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। সাফ জানালেন, বেআইনিভাবে নির্মাণ হলে, তা সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে ফেলা হবে। তার জন্য তদন্তও শুরু হয়েছে।
কসবার (Kasba) রাজডাঙা মেন রোডের উপর তিনটি প্লট কেএমডিএ’র (KMDA)। কলকাতা পুরসভার নথি অনুযায়ী, এই তিনটি প্লটের নম্বর ১০, ১১, ১২। ১১ নম্বর প্লটে রয়েছে ‘ইচ্ছে’ নামের বাড়িটি। এটি মূলত একটি এন্টারটেনমেন্ট হাউস। বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের শুটিং ছাড়াও ভাড়া দেওয়া হতো নানা কাজে। ১০ এবং ১২ নং প্লটে বাড়ি থাকলেও পুরসভার (KMC) নথিতে ফাঁকা জমি হিসেবেই চিহ্নিত আছে। ১১ নম্বর প্লটে ‘ইচ্ছে’ বাড়িটি ২ কাঠারও বেশি জমির উপর তৈরি। তার জন্য পুরসভায় প্রতি বছর কর হিসেবে ২,৩৫৬ টাকা পেয়ে থাকে। অথচ হিসেব বলছে, বাড়ি-সহ এই জায়গার প্রকৃত কর হওয়া উচিত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকারও বেশি। আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, শুধুমাত্র একটি জমিতেই বিপুল অঙ্কের কর (Tax) ফাঁকি দিয়েছে বাড়ির মালিক অর্থাৎ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের বাগানবাড়ি ‘অপা’র মালিক পার্থ ও অর্পিতাই, প্রকাশ্যে এল দলিল]
শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ওই বাড়ি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্লটের খালি প্লটে নির্মাণ হয়ে থাকলে পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী নোটিস পাঠানো হবে, তারপর তা ভেঙে দেওয়া হবে। যেহেতু কেএমডিএ-র জমি সেটি, তাই কেএমডিএ-র তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। ইতিমধ্যে কেএমডিএ তদন্ত শুরু করেছে।