সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত… সেদিন হব শান্ত… অত্যাচারির খড়গ কৃপাণ…! তাল কাটল। ভরা ব্রিগেড সমাবেশে এর আগে কোনও বাম নেত্রী এভাবে কবিতা বলতে গিয়ে ভুল করেছেন বলে মনে পড়ে না প্রবীণ রাজনীতিবিদদেরও। মীনাক্ষী (Minakshi Mukherjee) সেই ভুলটা করলেন। কিন্তু তাতে অস্বস্তিতে পড়লেন না। পরক্ষণেই ক্লান্ত চেহারার মলিন মুখে স্বীকার করে নিলেন, ‘ভুলে গেছি।’ ওই মলিন মুখের সরলতাকেই এদিনের ব্রিগেডের সাফল্য হিসাবে দাবি করছেন মহম্মদ সেলিমরা।
ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ব্রিগেডে ভিড় নেহাত কম হয়নি। বক্তা তালিকায় যারা ছিলেন তাঁরাও নিজেদের ভাষণে মঞ্চ জমিয়ে রেখেছিলেন। তবে নজর ছিল ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষীর দিকেই। আধা বাংলা, আধা হিন্দিতে মীনাক্ষীও খারাপ বলেননি। লড়াইয়ের কথা বলেছেন, নীতির কথা বলেছেন, রুজির কথা বলেছেন, রুটির কথা বলেছেন। এসবের মধ্যেই মারাত্মক ভুলটি করে ফেলেছেন। কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা উদ্ধৃত করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছেন। পরক্ষণেই অকাতরে স্বীকারও করেছেন,’ভুলে গিয়েছি।’
[আরও পড়ুন: ভিতরে জলরাশির শব্দ, পাশে খেলে বেড়াবে মাছ, গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর যেন অ্যাকোয়ারিয়াম!]
মীনাক্ষীর এই ভুল যে ব্রিগেড সমাবেশের ‘শিরোনাম’ হয়ে যেতে পারে তা বেশ জানতেন বর্ষীয়ান মহম্মদ সেলিম। সম্ভবত সেকারণেই নিজের ভাষণের শুরুতেই মীনাক্ষীর সেই ভুলের সাফাই দিলেন তিনি। সেলিম ভাষণ দিতে উঠে শুরুতেই বললেন,”কমরেড মীনাক্ষী আপনাদের সামনে বক্তৃতা করছিল। উত্তেজনার বশে কাজী নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা উদ্ধৃত করতে গিয়ে বলল ভুলে গেছি। রণক্লান্ত তো। কিন্তু শান্ত হবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর মতো জজ থাকা দুর্ভাগ্যের’, সন্দেশখালি বিতর্কে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ অরুণাভ ঘোষের]
সেলিমের বক্তব্য, “এটাই বামপন্থা আর দক্ষিণপন্থার মধ্যে পার্থক্য। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে কখনও বলত ভুলে গেছি? নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) হলে বলত ভুলে গেছি? কোনওদিন বলত না। ফ্যাসিস্টরা ভুল স্বীকার করে জানে না। মোদি-মমতার (Mamata Banerjee) মতো স্বৈরাচারীরা ভুল স্বীকার করতে জানে না। বামপন্থীরা পারে। আমরা ভুল স্বীকার করতে পারি। ভুল স্বীকার করতে বামেদের বুক কাঁপে না। কারণ বামপন্থীরা সততার সঙ্গে রাজনীতি করতে পারে।” বস্তুত মীনাক্ষীর ভুলের সাফাই দিতে গিয়ে মূলত মমতাকে আক্রমণ করলেন সেলিম।